বয়সসীমা স্থায়ী বৃদ্ধিসহ চাকরিপ্রার্থীদের ৪ দাবি
সব ধরনের চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। শনিবার (০২ এপ্রিল) বেলা ৩টা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। সর্বদলীয় চাকরিপ্রত্যাশী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
কর্মসূচি থেকে চাকরিপ্রার্থীরা চার দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো- সকল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি করতে হবে; নিয়োগ দুর্নীতি ও জালিয়াতি বন্ধ করতে হবে, নিয়োগ পরীক্ষার (প্রিলি ও রিটেন) মার্কসহ ফলাফল প্রকাশ করতে হবে; চাকরিতে আবেদনের ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা করতে হবে; একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ হোক
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, করোনাভাইরাস অন্য সকল সেক্টরের মানুষের মত চাকরি প্রত্যাশী যুব প্রজন্মকেও বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। বিগত ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার সাথে বন্ধ হয়ে যায় সকল সরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ প্রক্রিয়া।
তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতির জন্য গত ২ বছরে হাতেগোনা কয়েকটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে এবং ৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারিসহ কয়েকটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত। ফলে দেখা গেছে এই প্রজন্মের অনেকেই তাদের জীবনের প্রায় দুই বছর হারিয়ে ফেলেছেন।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম সমন্বয়ক মানিক রিপন জানান, ২০১১ সালে সাধারণ চাকরিজীবীদের অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৬০ বছরে উন্নীত করা হয়। কিন্তু সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ১৯৯১ সালে যখন গড় আয়ু ৫৭ বছর ছিল তখন শেষবারের মতো ২৭ থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়।
তিনি বলেন, গত ত্রিশ বছরে গড় আয়ু ১৮ বছর বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছর হলেও বৃদ্ধি হয়নি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা। অন্যদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর হলেও কোটাধারীদের ক্ষেত্রে তা ৩২ বছর। তাই সংবিধান অনুযায়ী বয়স বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি।