এক পদের পরীক্ষা, প্রশ্ন পেলেন অন্য পদের
মৎস্য অধিদপ্তরে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের পরীক্ষা। তবে পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষার্থীরা পেলেন সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের প্রশ্নপত্র। পরীক্ষার্থীদের ওই প্রশ্নের উপর দিতে হলে পরীক্ষা।
এ বিষয় কর্তৃপক্ষ ভুল স্বীকার করে জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষার্থীদের ‘যথাযথ’ মূল্যায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের হুমকি, জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে শিক্ষিকার আবেদন
শুধু মাত্র খিলগাঁও গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটেছে। যেখানে উপস্থিত ছিল কয়েক শত চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের পরীক্ষা দিতে এসে তারা সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটরের প্রশ্ন হাতে পেয়েছে। এবং তাদের ওই প্রশ্নে পরীক্ষা নিয়েছে। তারা তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনা পরীক্ষককে জানালে। পরীক্ষক বিকেল ৪টার পর আবার পরীক্ষা হবে বলে আশ্বস্ত করলেও আর পরীক্ষা নেননি।
আরও পড়ুন: বিবাহিত ছাত্রীদের হলে থাকতে না দেয়ার বিধান বাতিলের দাবি
চাকরিপ্রার্থীরা জানান, ওই কেন্দ্রের কমপক্ষে ৩০০ চাকরিপ্রার্থী এই ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। পরীক্ষার পর তারা কেন্দ্রে অবস্থান নিয়ে কর্তৃপক্ষকে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আবার পরীক্ষা গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করে।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনার কোনো সুরাহা না করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কা
এই বিষয় মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক জানান, ৫০ জনের মতো চাকরি প্রার্থী এ সমস্যায় পড়েছেন। তবে তাদের বঞ্চিত না করে কীভাবে উত্তরপত্রগুলো মূল্যায়ন করা যায়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩০টি কেন্দ্রে মৎস্য অধিদপ্তরের মোট ১৬৭টি পদে আজ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২০ সালের মার্চে প্রকাশিত সার্কুলার অনুযায়ী, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে ১৩৯ জন, সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর ৫ জন, হ্যাচারি টেকনিশিয়ান পদে ৪ জন ও পাম্প অপারেটর পদে ১৯ জন নেওয়া হবে। এসব পদে মোট আবেদন করেছেন ৮৬ হাজার ৮৬৯ জন।