খাদ্যের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সত্যতা মিলেছে
খাদ্য অধিদপ্তরের উপ-খাদ্য পরিদর্শক পদের নিয়োগ পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন ও তার উত্তর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তে নেমে এমন অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রাথমিক তদন্ত পর্যায়ে গত সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট খাদ্য অধিদপ্তরে অভিযান পরিচালনা করে নথি যাচাই করে।
পড়ুন: খাদ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, উত্তরপত্রসহ গ্রেফতার ২
দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শফি উল্লাহ বলেন, সংস্থার সহকারী পরিচালক রণজিৎ কুমার কর্মকার ও উপসহকারী পরিচালক মো. কামিয়াব আফতাহি-উন-নবীর সমন্বয়ে গঠিত টিমের অভিযানে খাদ্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আইআইসিটি কর্তৃপক্ষের বক্তব্যসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়।
‘‘দুদক ও খাদ্য অধিদপ্তর উভয়ই প্রশ্নপত্র এবং তার উত্তর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে।’’
পড়ুন: নিয়োগ পরীক্ষায় গলাকাটা ফি বেকারদের জন্য বাড়তি চাপ
দুদক সূত্র জানায়, প্রশ্ন ফাঁস প্রক্রিয়া পূর্ণাঙ্গভাবে উদঘাটনের জন্য এবং এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে কারা কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে আরও অধিকতর অনুসন্ধানের প্রয়োজন বলে মনে করে এনফোর্সমেন্ট টিম। এ কারণে সংগৃহীত নথিপত্র আরও যাচাই-বাছাই শেষে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রশ্ন ও তার উত্তর ছড়িয়ে পড়ার খবরের মধ্যেই গত ৩ ডিসেম্বর খাদ্য অধিদপ্তরের উপ-খাদ্য পরিদর্শক পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পড়ুন: খুলছে চাকরির জট, নভেম্বর-ডিসেম্বরেই হাজারো পদের নিয়োগ পরীক্ষা
জানা যায়, খাদ্য অধিদপ্তরের উপ-খাদ্য পরিদর্শকসহ মোট ২৪টি ক্যাটাগরির ১ হাজার ১৬৬টি পোস্টের বিপরীতে ১৬ লাখ ৪২ হাজার ৫৩৯ জন চাকরির আবেদন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ নভেম্বর উপ-খাদ্য পরিদর্শক ও ৩ ডিসেম্বর সহকারী খাদ্য পরিদর্শক পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
নিয়োগ পরীক্ষা অংশগ্রহণকারী কাশেম (ছন্দনাম) নামের এক চাকুরি প্রত্যাশীসহ কয়েকজন প্রার্থী দুদকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। সেখানে তারা পরীক্ষার আগেই প্রশ্নফাঁসের প্রমাণসহ অভিযাগ দাখিল করেন। অভিযাগে উপ-খাদ্য পরিদর্শক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই পরীক্ষা প্রশ্ন ফাঁসের কথাটি উল্লেখ করা হয়। যা বিভিন্ন মিডিয়া ও ফেসবুকে প্রকাশ পায়।
কর্মসংস্থান থেকে আরও পড়ুন