বাংলাদেশ থেকে নিরাপত্তারক্ষী নেবে মালয়েশিয়া
বাংলাদেশ থেকে নিরাপত্তারক্ষী নেবে মালয়েশিয়া। নেপালের পর দ্বিতীয় কোন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে নিরাপত্তকর্মী নিচ্ছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে কর্মী নেয়ার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই সমঝোতা স্মারকটিতে সই করেছেন বাংলাদেশের সেনা কল্যাণ সংস্থা এবং মালয়েশিয়ান সিকিউরিটি ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (পিআইকেএম)।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মালয়েশিয়া নিরাপত্তারক্ষীর ঘাটতি কাটাতে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন থেকে এই খাতে কর্মী নিয়োগ দিতে চায়। প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা দেখে পিআইকেএম বাংলাদেশকে বেছে নেয়।
ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, সেনা কল্যাণ সংস্থার প্রশিক্ষণ ও নিয়োগের কাজ দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ সুবিধা এবং আন্তর্জাতিক নিয়োগ সংস্থা হিসেবে লাইসেন্স রয়েছে।
এদিকে, নিয়োগ পদ্ধতি, সুবিধা এবং নিয়োগ শুরুর সময় এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে মালয়েশিয়ায় নিরাপত্তারক্ষীর তীব্র ঘাটতি থাকায় শিগগির নিয়োগ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পিআইকেএম শুধুমাত্র বাংলাদেশের নাম সুপারিশ করেছেন। এর কারণ হিসেবে সংস্থাটির সভাপতি রামলি বলেছেন, 'যখন বাংলাদেশে ট্রেনিং স্কুল দেখতে গিয়েছিলাম, আমরা দেখেছি কীভাবে তারা ৩ মাস ধরে প্রশিক্ষিত হয়েছে। আমাদের মনে হয়েছে তারাই সেরা।'
রামলি জানিয়েছেন, আমরা মালয়েশিয়া সরকারকে দ্রুত অনুমোদন দিতে আহ্বান জানিয়েছি। কারণ, গেল বছর করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে অনেকেই চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় এখন নিরাপত্তারক্ষীর ঘাটতি রয়েছে।
উল্লেখ্য, আগে দেশটিতে প্রায় ৪০ হাজার নেপালি নিরাপত্তারক্ষী ছিল। এই সংখ্যা ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজারে নেমে এসেছে। তারা চান এই শূন্য পদগুলোতে যেন বাংলাদেশি নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হয়। নেপাল ও বাংলাদেশ থেকে যে নিরাপত্তারক্ষী নেওয়া হচ্ছে তাদের তুলনামূলক খরচ কেমন হবে সে সম্পর্কে কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন রামলি। লক্ষণীয় ব্যাপার হলো গার্ড নেওয়ার বিষয়ে এর আগে ২০১৮ সালেও দেশটির সঙ্গে একটি চুক্তি সই হয়েছিল। তখন দেশটিতে ক্ষমতায় থাকা মাহাথির মোহাম্মদের সরকার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা দিলে চুক্তিটি আর আলোর মুখ দেখেনি ।