চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা ৩৫ এর দাবিতে শাহবাগে সমাবেশ
সকল প্রকার চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা ন্যূনতম ৩৫ বছর বাস্তবায়ন ও শর্তসাপেক্ষেু উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ (কেন্দ্রীয় কমিটি) ও স্বদেশী আন্দোলন।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা এ দাবি জানায় সংগঠনগুলো। এছাড়া ৭দফা দাবিও উত্থাপন করে তারা।
সমাবেশে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব মো: ইউসুফ জামিল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে ছিলো সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার আলোকে যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশীদের গড় আয়ু ৭৩ বছরের সঙ্গে সঙ্গতি রাখলে চাকিরতে প্রবেশের সময়সীমা কমপক্ষে ৪৫ হওয়া যুক্তিসঙ্গত। কিন্তু আমরা দাবি করছি ৩৫ পর্যন্ত বাড়ানোর।
বিশ্বের ১৬৫ দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বা তার বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৪০ বছর, শ্রীলঙ্কায় ৪৫ বছর এবং মালয়েশিয়ায় ৫৫ বছর পর্যন্ত চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে। ২০১১ সালে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করা হলেও সেটার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চাকিরতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি।’
সমাবেশে উত্থাপিত দফা দাবি হল- শিক্ষিত বেকার ও কর্মহীন সকল বয়সী বেকারদের কমপক্ষে মাসিক বিশ হাজার টাকা করে ভাতা নিশ্চিত করা, রাষ্টায়ত্ব ব্যাংক থেকে বিনা সুদে ১০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত লোন দেয়া, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনা, সাংবিধানিকভাবে বেসরকারি চাকরির বেতন কাঠামো, কর্মঘণ্টা, পেনশনসহ গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রণয়ন, একই দিনে একাধিক পরীক্ষা বাতিল, সকল নিয়োগ ৫০-১০০ টাকার মধ্যে নিয়ে আসা, সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা।