স্থায়ীভাবে চাকরিতে আবেদনের বয়স দুই বছর বাড়ানোর দাবি
করোনাকালে নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সে ২১ মাসের ছাড় দিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তা বাস্তব সম্মত নয় দাবি করে চাকুরিপ্রত্যাশীদের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ২ বছর বৃদ্ধি করে ৩২ বছর করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি।
শনিবার (২১ আগস্ট) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানান বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মনির।
মনিরুজ্জামান মনির বলেন, দেশের সরকারি চাকুরিতে মোট অনুমোদিত পদ ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ৮৬৮ জন। এর মধ্যে বর্তমানে কর্মরত ১৫ লাখ ৪ হাজার ৯১৩ জন। শূন্য রয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫টি পদ। এর বিপরীতে দেশের শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। করোনা মহামারিতে নতুন সার্কুলার না আসায় এবং অনেক বেসরকারি চাকুরি হারানো এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ অবস্থায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলোকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা গত বছরের ২৫ মার্চ নির্ধারণ করার জন্য বলেছে।
“অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৫ মার্চের পর থেকে যাদের চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ বছর পার হয়েছে বা হচ্ছে, তারা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জারি করা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের যোগ্য হবেন। যা অনেকাংশেই বাস্তব সম্মত নয়। কারণ মাত্র ৪ মাসের মধ্যে শূন্য ৩ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৫টি পদের সার্কুলার কোন ভাবে প্রকাশ সম্ভব নয় বলে আমরা মনে করি। তাই ২১ মাসের ছাড়ের এই সুফল চাকুরিপ্রত্যাশীরা কতটা পাবে তা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “যদি দেখা যায় করোনাভাইরাসের প্রভাবে কোন সার্কুলার ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ এর আরো ২ বা ৩ বছর পরে প্রকাশ করা হলো। তখন তো যাদের বয়স ২০২০ এর ২৫ মার্চের পর ৩০ বছর পার হয়ে গেছে তারাও আবেদন করতে পারবেন না। অর্থাৎ অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর ২০২১ এ যাদের বয়স শেষ হবে, তারা ছাড় পাবে যথাক্রমে ২ মাস, ১ মাস ও ১ মাসেরও কম। যদি সরকার ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ এর মধ্যে সব শূন্য পদের বিপরীতে সার্কুলার প্রকাশ করতে পারে তাহলে আমাদের কোন আপত্তি নেই। আর যদি সব সার্কুলার প্রকাশ করা না হয় তাহলে চাকুরিতে প্রত্যাশীদের বয়স ২ বছর স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি করাই যুক্তিযুক্ত বলে আমরা মনে করি।”
বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি আরও বলেন, করোনাভাইরাস ও নিয়োগ বিধি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার কারণে বাংলাদেশ রেলওয়ের ৪৮ হাজার জনবল নিয়োগ আটকে আছে। রেলওয়ে পোষ্যসহ লাখো সাধারণ চাকুরিপ্রত্যাশী এসব সার্কুলার প্রকাশের আশায় থাকিয়ে রয়েছে। আমরা রেলওয়েসহ সকল মন্ত্রণালয়ের সব সার্কুলার ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ এর মধ্যে প্রকাশের জোর দাবি জানাচ্ছি।”