পূর্বের নিয়মে নিয়োগ দাবি গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান চাকরি প্রত্যাশীদের
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে গ্রন্থগারিক ও সহকারী গ্রন্থগারিক পদে প্রায় ১৫ হাজার নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই দু’টি নবসৃষ্ট পদে গত ২৮ জানুয়ারির পর থেকে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত থাকায় চাকরিপ্রত্যাশীরা সমস্যায় পড়েছেন। চাকরিপ্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ গ্রন্থগারিক ও সহকারী গ্রন্থগারিক পদে প্রক্রিয়াধীন নিয়োগগুলো আগের নিয়মে সম্পন্ন করার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার মানববন্ধন করেছে। বিভিন্ন মাদ্রাসাতে আবেদনকৃত ওই পদে চাকরিপ্রত্যাশীরা জাতীয় প্রেস ক্লাবে ও মাদ্রাসা অধিদফতরের সামনে তাদের দাবিগুলো নিয়ে ওই মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে চাকরিপ্রত্যাশী ঐক্য পরিষদের সভাপতি খান সাইফুল ইসলাম বলেন, এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজে গত ১০ বছর যাবৎ গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থগারিক পদে (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের) প্রায় ৯৫ শতাংশ নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরাসায় গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিকের দু’টি নবসৃষ্ট পদ তৈরি করা হয়। ওই পদে জুলাই ২০২০ থেকে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হলেও নানা কারণে তা বাধাগ্রস্ত হয়। ফের ২৩ নভেম্বর ২০২০ (সংশোধিত) বিজ্ঞপ্তি দেখে প্রতিষ্ঠানগুলোর সব শর্তাবলি মেনে আমরা এক একজনে ২০-২৫টি এমনকি তারও বেশি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করি। এতে প্রতিজনের ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই দু’টি পদে নিয়োগের জন্য মাদ্রাসা অধিদফতরের মহাপরিচালক মহোদয়ের প্রতিনিধি মনোনয়ন করা হয়েছিল সর্বশেষ গত ২৮ জানুয়ারি। কিন্তু এর পর থেকে অজ্ঞাত কারণে বাকি কার্যক্রম স্থগিত হয়ে আছে।
মানববন্ধনে সঞ্চালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা যারা দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন মাদ্রাসায় আবেদন করে নিয়োগের আশায় লাখ লাখ টাকা খরচ করে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী প্রক্রিয়াধীন আছি, আমরা আজ সর্বস্বান্ত হয়ে পথে নেমেছি।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মোহাম্মদ ওলিউর রহমান, সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য মাজহারুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালামসহ আরো অনেকে। বিজ্ঞপ্তি।