‘২১ মাস ছাড় বৈষম্যমূলক’, চাকরির বয়সসীমা ৩২ করার দাবি
সরকারি চাকরিতে আবেদন করার বয়স ২১ মাস ছাড় দেওয়ার যে পরিকল্পনা করছে সরকার এটিকে বৈষম্যমূলক দাবি করে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩২ করার দাবি জানানো হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে চাকরিপ্রত্যাশীদের পক্ষে তানভির হোসেন, মারজিয়া মুন, মানিক রিপন, ও ওমর ফারুক আলাদাভাবে লিখিত বক্তব্যের অংশবিশেষ পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে করোনায় বয়সজনিত ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে, এটি ভাল। তবে ব্যাকডেট দেওয়ার মাধ্যমে চাকরিপ্রত্যাশীদের ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব নয়। করোনা শুধুমাত্র ৩০ বছর অতিক্রম করে যাওয়া চাকরিপ্রত্যাশীদেরই ক্ষতি করেনি, বরং সকল বয়সীদের ক্ষতি করেছে।
যেসব শিক্ষার্থী বিগত দেড় বছর ধরে অনার্স বা মাস্টার্স পর্যায়ে আটকে আছে তারাও সমান ভুক্তভোগী। কেননা তারাও তাদের বয়স থেকে ২টি বছর হারিয়ে ফেলেছে বলেও জানান বক্তারা।
তারা আরও বলেন, ১৯৯১ সালে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ২৭ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ করা হয়, যখন গড় আয়ু ছিল ৫৭ বছর। এখন গড় আয়ু ৭৩ বছর হলেও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হয়নি। ২০১১ সালে অবসরে যাওয়ার বয়স যেহেতু দুই বছর বাড়ানো হয়েছে সেক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বয়স দুই বছর বৃদ্ধি করলে সেটাও আর সাংঘর্ষিক হয় না।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লিখিত প্রতিশ্রুতি ছিল বাস্তবতার নিরিখে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে যুক্তি সংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। করোনা জীবনের যে সময় কেড়ে নিচ্ছে এর চেয়ে বড় বাস্তবতা আর কী হতে পারে। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির বছরে উপহার হিসেবে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩২ বছর করার দাবি জানাচ্ছি।