বিসিএস থেকে চিকিৎসক নিয়োগে হস্তক্ষেপ করবে না হাইকোর্ট
কততম বিসিএস থেকে কীভাবে, কতজন চিকিৎসককে নিয়োগ দেওয়া হবে; সেটি সরকারের পলিসি মেকিংয়ের বিষয়। তাই এ বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করবেন না বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
৩৯তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানিকালে সোমবার (২ আগস্ট) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটকারীদের আইনজীবীদের উদ্দেশে এ মন্তব্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ন ও অ্যাডভোকেট মো. মশিউর রহমান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
রিটের শুনানিকালে রিটকারীদের আইনজীবীদের উদ্দেশে আদালত বলেন, এ বিষয়ে আমরা (হাইকোর্ট) হস্তক্ষেপ করবো না। সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে কথা বলুন। তবে, চিকিৎসক নিয়োগে আইনের কোনও ব্যত্যয় হলে আপনারা তখন আদালতে আসতে পারেন।
এর আগে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত ৩৯তম বিসিএস-এ (বিশেষ) উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি আবেদন জানানো হয়। গত ২৯ জুলাই ৩৯তম বিসিএসে উত্তীর্ণ চিকিৎসক ডা. রাফা মো. নুরুল ইসলামসহ ১ হাজার ৩৬০ জন শিক্ষার্থীর পক্ষে এ আবেদন করেন আইনজীবী মশিহুর রহমান।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ৩৯তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় চুড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী সার্জন পদে ১৩ হাজার ২১৯ চিকিৎসক তালিকাভুক্ত হন। এর মধ্য থেকে প্রথম দফায় ৪ হাজার ৫৪২ জন চিকিৎসককে স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ দেয় সরকার।
তখন বলা হয়- এরা উভয় পরীক্ষায় কৃতকার্য হলেও শূন্য পদ না থাকার কারণে তাদের নিয়োগের বিষয়ে সুপারিশ করা গেল না। পরবর্তীতে নিয়োগের রিকুইজিশন পাওয়া গেলে নন ক্যাডার হিসেবে বিধি-বিধান অনুসরণ করে নিয়োগ দেওয়া হবে। এরপর ২০২০ সালে করোনার প্রার্দুভাব বেড়ে যাওয়া তখন আরও ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে আরও বাকী থাকেন প্রায় সাড়ে ৬ হাজার চিকিৎসক।
তবে সম্প্রতি নতুন করে ৪ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। বলা হয়েছে, নতুন এ নিয়োগ ৪২তম বিসিএস (বিশেষ) এ উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে নেওয়া হবে। সে কারণেই হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়। আবেদনে ৩৯তম বিসিএসে (বিশেষ) উত্তীর্ণ তালিকাভুক্ত সাড়ে ৬ হাজার চিকিৎসক থেকে নিয়োগের নির্দেশনা চাওয়া হয়।