নভেম্বরে ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি

  © ফাইল ছবি

আগামী নভেম্বর ৪৪তম বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আসতে পারে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তারা ৪৪তম বিসিএস কাজ শুরু করেছে। আসন্ন বিসিএসেও করোনা স্থবিরতায় আটকে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের বয়সসীমায় কোনো পরিবর্তন আসবে না। তবে কিছু সুযোগ থাকছে। 

৪৪তম বিসিএসের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে তারা ৪৪তম বিসিএসের চাহিদাপত্র তৈরির কাজ করছে। গত ফেব্রুয়ারিতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছে প্রথম শ্রেণির শূন্য পদের চাহিদা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। প্রায় সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে চাহিদাপত্র পৌঁছেছে। এবার পর্যালোচনা করে ক্যাডার নিয়োগ দিতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনকে (বিপিএসসি) প্রস্তাব দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, 'জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৪৪তম বিসিএস কাজ করছে। ওখান থেকে আমাদের কাছে প্রস্তাব আসার পরেই আমরা এটা নিয়ে কাজ শুরু করতে পারব।'

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, আগস্টের মধ্যে অথবা অক্টোবরের শুরুতেই এই নিয়োগের চাহিদাপত্র পিএসসিতে পৌঁছে যাওয়ার কথা। আর পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, অক্টোবরে চাহিদাপত্র এলে নভেম্বরের মধ্যেই ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পিএসসিতে প্রস্তাব আসার কত দিন পর এই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি আসতে পারে—এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখন অনিশ্চয়তা চলছে সব জায়গায়। আমরা অফিস করতে পারব কিনা সেটার ওপর সবকিছু নির্ভর করছে।তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে যত দ্রুত সম্ভব কাজ গুছিয়ে আনার। আমাদের কাছে প্রস্তাব আসার পর বিজ্ঞপ্তি দিতে খুব বেশি সময় লাগবে না।'

আর করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনের বয়সসীমা নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আনিছুর রহমান বলেন, ৪৪তম বিসিএসের নিয়োগ নিয়ে কাজ চলছে। এই বিসিএসে আবেদনের বয়সসীমায় কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। তবে করোনার কারণে কোনো চাকরিপ্রার্থী যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হবে। ২০২০ সালের মার্চে বিধিনিষেধ শুরু হয়েছিল। সেই সময়ে যাদের বয়স ৩০ বছর (মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা, প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে তার ৩২) হয়েছে তাদের আবেদনের সুযোগ দেয়া হবে।