বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৩ বছরেও হয়নি ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্টদের নিয়োগ পরীক্ষা

ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট
ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট  © ফাইল ছবি

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তিন বছর পরও পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।  ফলে চাকরিপ্রত্যাশী তরুণরা চরম অনিশ্চয়তা দিন পারছেন। অধিদপ্তরে দিনের পর ধরনা দিয়েও পরীক্ষার সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ জানতে পারেনি প্রার্থীরা। এই অবস্থায় দ্রুত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, ২০১৮ সালে ৬২৭ পদে ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে চার হাজার ৫৫৩ জন চাকরিপ্রত্যাশী আবেদন করেন। আবেদনের তিন বছর পরও পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এদিকে করোনা পরিস্থিতে চিকিৎসকদের পাশাপাশি ফার্মাসিস্টদের প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছে। ফার্মাসিস্ট (ডিপ্লোমা) নিয়োগ না দেওয়ায় রোগীরা সঠিক সেবা পাচ্ছে না। কোভিড-১৯ সহ বিভিন্ন ভ্যাকসিন সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট ছাড়া কঠিন। এতে ভ্যাকসিন এর কার্যকারিতা নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের শংকায় পড়তে হচ্ছে।

ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্টরা বলছেন, করোনাকালে হাসপাতালগুলোতে ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্টের প্রয়োজনীতা অনেক বেশি হলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। ২০১৮ সালে অর্থাৎ তিন বছর পূর্বে সার্কুলার হয়েছে। পরিচালক প্রশাসন বার বার আশ্বাস দিলেও এখনো নিয়োগ বাস্তবায়ন হয়নি। এই মহামারীতে ফার্মাসিস্টের নিয়োগ বাস্তবায়ন ও নতুন সার্কুলার এখনো দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট পদে চাকরী প্রত্যাশীরা জানান, ২০১৮ সালে ৬২৭ পদে ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।  এর দেড় বছর পর ২০২০ সালে জানুয়ারিতে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পরীক্ষার ৯ দিন আগে তা বন্ধ করে দেয় অধিদপ্তর। প্রায় ৩ বছর পার হয়ে গেছে, নিয়োগ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মুখে কুলুপ এঁটেছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, ডাক্তার ও ফার্মাসিস্টরা হলেন রোগীর স্বাস্থ্যসেবার বিকল্পহীন অবলম্বন। রোগীর রোগনির্ণয়ে ডাক্তাররা যেমন বিশেষজ্ঞ, ঠিক তেমনি ওষুধ নিয়ে বিশেষজ্ঞ হলেন ফার্মাসিস্টরা। একজন ডাক্তারের কাজ হলো রোগীর রোগ নির্ণয় করে একটি প্রেসক্রিপশন বা নির্দেশনা দেওয়া। আর ফার্মাসিস্টের কাজ হলো প্রেসক্রিপশন পুনঃপরীক্ষণ, ওষুধ তৈরি, রোগীকে বিতরণ এবং ওষুধের ব্যবহারবিধি ও সংরক্ষণ নিয়ে রোগীকে পরামর্শ প্রদান। উন্নত বিশ্বের সব দেশেই ডাক্তার ও ফার্মাসিস্টদের কাজের এমন সমন্বয়েই রোগীর চিকিৎসা প্রদান করা হয়। ফলে রোগীও পায় মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা।

কিন্তু ফার্মাসিস্ট (ডিপ্লোমা) স্বল্পতায় ঔষধ বিতরণ, মান নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য কাজে ব্যাঘাত ঘটছে এবং জনগণ ঔষধ সংক্রান্ত সেবা পাচ্ছে না। এতে সরকারি ১২টি হেলথ টেকনোলজি ও বেসরকারি ৪১টি হেলথ টেকনোলজি থেকে ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্টরা পড়াশোনা শেষ করে বেকার বসে আছে।

হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করলেও সে অনুপাতে ফার্মাসিস্টদের (ডিপ্লোমা) সংখ্যা বাড়েনি। এদিকে চাকরি প্রত্যাশীদের আশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দ্রুত এই সসমস্যা সমাধান করবে।


সর্বশেষ সংবাদ