স্থায়ীভাবে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ করার দাবি
করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ততার কারণে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩২ করার দাবি জানিয়েছে চাকরি প্রত্যাশীরা।
আজ রবিবার (২৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশর বয়সসীমা ৩২ চাই’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন করে তারা এ দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, করোনাকালীন অচলাবস্থায় সব বয়সের শিক্ষার্থী চাকরিপ্রত্যাশীরা ইতোমধ্যেই দেড় বছর হারিয়ে ফেলেছে যা দুই বছরের দিকে ধাবমান। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ হওয়ায় দেড় লাখ তরুণ-তরুণী (করোনার শুরুর সময়ে যাদের ২৮+ বয়সের ছিলো) চাকরির পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার সুযোগ না পেয়েই তারা ৩০ এর গণ্ডি অতিক্রম করতে চলেছে। যেসব শিক্ষার্থীরা ২৬ বছর বয়সে শিক্ষাজীবন শেষ করে সেই করোনা শুরুর সময় থেকে আশায় বসে আছে চাকরির পরীক্ষায় অবতীর্ণ হবে, তারাও এই দেড় বছর হারাতে চলছে। সরকারি বিধি মোতাবেক প্রচলিত যে ৩০ বছর বয়স অবধি আবেদনের সুযোগ পাওয়ার কথা করোনার আঘাত কিন্তু প্রকৃতই সেই সুযোগ দিচ্ছে না। ২০১১ সালে এসে অবসরের বয়স বেড়ে হয় ৫৯ আর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য হয় ৬০। অবসরের বয়স যেহেতু ২ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে সেক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বয়স দুই বছর বৃদ্ধি করলে সেটাও আর সাংঘর্ষিক হয় না।’
এসময় তারা আরও বলেন, করোনায় শিক্ষার্থীদের প্রায় ২ বছর সময় জীবন থেকে অতিবাহিত হতে চলেছে। তাই করোনাকালীন সরকারের সকল প্রণোদনার পাশাপাশি মুজিববর্ষের ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির বছরে আমরা বেকার যুবকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট ‘প্রণোদনা স্বরূপ’ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করার দাবি জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগ সরকারের ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লিখিত ‘প্রতিশ্রুতি বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থা গ্রহণ’ অনুযায়ী করোনাকালীন প্রণোদনা হিসেবে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২এ উন্নীত করার জোরালো দাবি ও আবেদন জানাচ্ছে এদেশের যুব সমাজ।
মানববন্ধন থেকে এই দাবিতে আগামীকাল সোমবার (২৮ জুন) সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে একটি সংবাদ সম্মেলন এবং মঙ্গলবার (২৯ জুন) বিকেল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে অথবা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মৌন সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
মানববন্ধনে আকাইদ আকন্দের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন তানভির হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আনোয়ার সাকিন, অক্ষয় রায়, সুমনা রহমান, মারজিয়া মুন, মানিক রিপন, সাদেকুল ইসলাম, শারমীন সুলতানা, কাজী কামরুন্নাহার, নিতাই সরকার, আলমগীর হোসেন, ওমর ফারুক, বাকী বিল্লাহসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য।