সুখবর পাচ্ছেন চাকরির বয়স শেষ হওয়া প্রার্থীরা

চাকরির পরীক্ষা
চাকরির পরীক্ষা  © ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে লকডাউনে (বিধিনিষেধ) ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর আসছে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কারও নির্ধারিত বয়স পেরিয়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্তদের বয়স শিথিলের জন্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে আবারও নির্দেশনা দেবে মন্ত্রণালয়।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে তা ৩২ বছর। করোনা মাহামারির প্রথম দফায় সাধারণ ছুটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত চাকরি প্রার্থীদের বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় দেয় সরকার। করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণেও আটকে গেছে অনেক চাকরি পরীক্ষা। আর এই সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত চাকরি প্রার্থীদের বয়সের ক্ষেত্রেও ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর আগে গত ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছিল তাদের পরবর্তী ৫ মাস, অর্থাৎ আগস্ট পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু এ বছর এপ্রিল থেকে ফের লকডাউন চলছে। মন্ত্রণালয়, বিভাগ কিংবা সংস্থাগুলো চাকরির জন্য বিজ্ঞপ্তি দিতে পারছে না।

প্রনোদনা হিসেবে চাকরি প্রার্থীদের বয়সসীমা ৩২ বছর করা হবে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘চাকরি প্রার্থীদের বয়সসীমা ৩২ বছর করা না হলেও যাদের লকডাউনের কারণে বয়স পার হয়ে গেছে তারা ওই আগের তারিখ অনুযায়ী আবেদনের সুযোগ পাবে। লকডাউনটা শেষ হলে বিষয়গুলো আরও সুন্দর করে আয়োজন করা হবে। প্রত্যেকটা সরকারি কর্মক্ষেত্রে এই বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হবে। যেমন গত বছর অক্টোবরে যে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল কিন্তু হয়নি সেই পরীক্ষার জন্য প্রার্থীর বয়স ওই তারিখে যা ছিল সেটা ধরে তাদের পরীক্ষার সুযোগ দেয়া হবে। কেউ যেন তারিখ পিছিয়ে যাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিক বিবেচনা করে পরবর্তীতে পরীক্ষার আয়োজনের নির্দেশনা দেয়া আছে।’

এদিকে, করোনা মহামারি বেকারত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কয়েক লাখ চাকরি প্রার্থীর ন্যূনতম বয়স লকডাউনের মধ্যে চলে গেছে বলে জানিয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের বয়স বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত সংগঠনগুলো।

এবছর করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ফের উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ দেয় সরকার। পরে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। লকডাউনের মধ্যে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। পরে সাতদিন করে দু-দফা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ৫ মে (বুধবার) মধ্যরাতে। এদিকে, সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, লকডাউনের মেয়াদ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ