এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে সাত ব্যাংকের পরীক্ষা নেয়ার চিন্তা
এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে সমন্বিত সাত ব্যাংকের স্থগিত পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তা ভাবনা করছে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি (বিএসসি)। তবে বিষয়টি নির্ভর করছে আগামী ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার উপর। বিএসসির একাধিক সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনাকালীন সময়ে বড় কোনো পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে সরকারী কর্ম কমিশনকে (পিএসসি) অনুসরণ করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেক্ষেত্রে তারা যদি ১৯ মার্চ ৪১তম বিসিএসের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারে তাহলে ১৯ মার্চের পর সমন্বিত সাত ব্যাংকের পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হবে।
ওই সূত্র আরও জানায়, ১৯ মার্চের পর শুক্রবার হচ্ছে ২৬ মার্চ। তবে সেদিন পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হবে না। ফলে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই স্থগিত পরীক্ষা নেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক ও বিএসসির সদস্য সচিব আরিফ হোসেন খান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এখন বড় কোনো পরীক্ষা আয়োজনের জন্য গভর্নর স্যার পিএসসিকে অনুসরণ করতে বলেছেন। আগামী ১৯ মার্চ পিএসসি ৪১তম বিসিএসের পরীক্ষা নেবে। এর পর আমরা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর সমন্বিত সাত ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছিল বিএসসি। তবে দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ২৮ নভেম্বর পরীক্ষা স্থগিত করে বিজ্ঞপ্তি দেয় বিএসসি।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ নভেম্বর সাত ব্যাংকের ৭৭১টি সিনিয়র অফিসার পদের পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি (বিএসসি)। আর গত ২৩ নভেম্বর নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্র ও আসন বিন্যাস প্রকাশ করে সংস্থাটি। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৭৭১টি পদে এক লাখ ৪০ হাজার ১৫৫ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবেন।
সমন্বিত সাতটি ব্যাংকের নাম ও শূন্য পদের সংখ্যা: সোনালী ব্যাংক লিমিটেড-২৬৪ টি, জনতা ব্যাংক লিমিটেড-১৩৯ টি, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড-২১১ টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক-১১৩ টি, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন-০৮ টি, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ-৩০ টি, কর্মসংস্থান ব্যাংক-৬ টি, সমন্বিতভাবে এই ৭টি ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মোট ৭৭১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।