ফুল ফেলে ভারাক্রান্ত মনে আদালত ছাড়লেন শিক্ষকেরা

  © টিডিসি ফটো

জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার ৭২০ শিক্ষকের শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরত দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে পরিপত্রের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে রিটকারীদের আবেদন করতে বলেছেন আদালত।

কিন্তু শিক্ষকরা ভেবেছিলেন উল্টোটা। তারা মনে করেছিলেন হাইকোর্টের রায় তাদের পক্ষে আসবে। আর মামলায় জেতার ভাবনা থেকেই আইনজীবীকে দিতে অনেকগুলো ফুলের তোড়া এনেছিলেন। কিন্তু তাদের ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো। হাইকোর্ট রিট খারিজ করে দিলেন। আজ রোববার হাইকোর্টের এ রায়ের পর শিক্ষকরা ভারাক্রান্ত মনে অশ্রু ভেজা চোখে যে যার মতো চলে যান। হাইকোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে ফুলের তোড়াগুলো ফেলে রেখে চলে গেলেন ভারাক্রান্ত শিক্ষকরা।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম বলেন, রিটকারীদের সঙ্গে কথা বলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি-না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় বলেন, হাইকোর্ট রিটকারীদের পরিপত্রের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে বলেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের বিরুদ্ধে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয় এবং রায়ের জন্য রোববার দিন ধার্য করেন বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

গত ১৩ জানুয়ারি জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টাইম স্কেলের রিট মামলাটি তিন সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্ট বিভাগকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

গত বছরের ১২ আগস্ট ‘টাইম স্কেল’-এর সুবিধা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শিক্ষকরা রিট করেন। তখন হাইকোর্ট বিভাগ পরিপত্র স্থগিত করে রুল জারি করেন। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।

পরে ১৩ সেপ্টেম্বর চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। এরপর স্থগিতাদেশ তুলে দিতে শিক্ষকরা আবেদন করেন। আপিল বিভাগ তিন সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে রিট মামলাটি নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ