৯ দিনের আল্টিমেটাম, দাবি আদায় না হলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে ৯ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন হলে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচির পালন করবে আন্দোলনরত চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ ও পদযাত্রা কর্মসূচি শেষে এ ঘোষণা দেন সাধারণ ছাত্র পরিষদের সভাপতি ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র ইমতিয়াজ হোসেন। বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান।
ইমতিয়াজ বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর- এ সীমানা প্রাচীর বাংলাদেশের লাখো কোটি ছাত্র সমাজকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তারা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। উচ্চশিক্ষিত বেকার যুব সমাজ যখন উপেক্ষিত তখন বর্তমান রাষ্ট্রপতি স্পিকার থাকা অবস্থায় ২০১২ সালের ৩১ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এতে যুব সমাজ আশার আলো দেখেছিলো।
তিনি বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ২১তম বৈঠকে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ বছর সুপারিশ করে। নবম জাতীয় সংসদে ১৪তম অধিবেশনে ৩৫ বছর করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। সেই থেকে বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ দাবি বাস্তবায়নের জন্য পাঁচ বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
এদিন দুপুরে রাজধানীর শাহবাগের বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে পদযাত্রা শুরু হয়। কর্মসূচিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। পরে পদযাত্রা শেষে বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বৈঠক থেকে দাবি আদায়ে ৯ দিনের সময় বেঁধে দেয়া হয়।
নতুন কর্মসূচির কথা জানিয়ে ইমতিয়াজ বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরামর্শ করেই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে দাবি আদায়ে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দাবি আদায় না হলে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি শুরু হবে।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক এম এ আলী বলেন, আজকের কর্মসূচিতে শাহবাগে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আমাদের সাফল্যের বিষয়ে আশাবাদী। বাংলাদেশে চাকরি আবেদনে বয়সসীমা ৩৫ বছর করা যে কত যৌক্তিক এটা কর্তৃপক্ষকে বুঝাতে হবে। নতুন এ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা আমাদের দাবি আদায় করে ঘরে ফিরবো।