৭ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত, করোনা নিয়ে দ্বিধায় বিএসসি
করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চে থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ ছুটি সর্বশেষ ঘোষণায় আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো বন্ধ হয়ে যায় সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের চাকরির পরীক্ষাও। তবে গত দুই মাসে সীমিত পরিসরে কিছু চাকরির পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। এজন্য মানা হয়েছে কঠোর স্বাস্থ্যবিধিও।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা কমে আসায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীন ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি (বিএসসি) সরকারি ব্যাংকের বিভিন্ন পদের পরীক্ষা নেয়া শুরু করেছে। এরমধ্যে গত ৩১ অক্টোবর প্রায় অর্ধলাখ পরীক্ষার্থীর জন্য অফিসার (ক্যাশ) পদের পরীক্ষারও আয়োজন করা হয়। আর আগামী ৫ ডিসেম্বর সমন্বিত সাত ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদের নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি।
তবে চলতি মাসে করোনাভাইরাস সংক্রমন ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় বিষয়টি নিয়ে সংশয়ে পড়ে গেছেন বিএসসির নীতি নির্ধারকরা। তারা জানিয়েছেন, পরীক্ষাটির তারিখ চূড়ান্ত করা হয়ে গেছে। এখন করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় কী সিদ্ধান্ত নেবেন বুঝতে পারছেন না। তবে আজ অথবা আগামী সপ্তাহের শুরুতেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্য সচিব আরিফ হোসেন খান আজ বৃহস্পতিবার সকালে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘সাত ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পরীক্ষার তারিখ ৫ ডিসেম্বর চূড়ান্ত করা হয়েছে। শিগগিরই এটি পরীক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিও আমাদের সংশয়ে ফেলে দিয়েছে। এ বিষয়ে আজ-কালের মধ্যেই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।’
তিনি বলেন, ‘এই পরীক্ষাটি এখন স্থগিত করা হলে কয়েকমাস পিছিয়ে যাবে। তখন আরও জটিলতা তৈরি হবে। এছাড়া পরীক্ষা নেয়ার জন্য পরীক্ষার্থীদেরও চাপ আছে। এ কারণে আমরা এখন পর্যন্ত পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্তেই অনড় আছি। এক লাখ ৪০ হাজারের মতো পরীক্ষার্থী হলেও ৭০-৮০ হাজার উপস্থিত থাকতে পারে। এছাড়া করোনার কথা চিন্তা করে সেভাবেই আসনবিন্যাস করা হবে।’
বিএসসি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষায় ৬৫টি থেকে ৬৭টি কেন্দ্র থাকতে পারে। আগে একটি বেঞ্চে চার জন পর্যন্ত বসলেও এবার তা থাকছে না। একটি বেঞ্চে এক থেকে দু’জনকে বসানো হতে পারে। পাশাপাশি মানতে হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি। প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার পরীক্ষার্থী এতে অংশ নেবে। সেভাবেই এ পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।