রাজধানীতে বড় জমায়েত করবে ৩৫ প্রত্যাশীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২০, ০৪:০২ PM , আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২০, ০৪:৫৩ PM
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ নামক সংগঠন। গণ অনশন, শাহবাগ অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। তবুও দাবি আদায় করতে পারেনি তারা। তবে করোনাকালে দীর্ঘদিন সবকিছু বন্ধ থাকায় বয়স বৃদ্ধির দাবিটি আবারো জোরালো হয়।
চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির দাবি সরকারের কাছ থেকে আদায় করতে এবার পরিকল্পনা মাফিক এগোতে চায় সাধারণ ছাত্র পরিষদ। পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের সব বিভাগীয় শহরে কমিটি দেয়ার কাজ চলমান রেখেছে সংগঠনটি। ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি দেয়া হয়েছে। এখন খুলনা বিভাগের কাজ চলছে। সব বিভাগে কমিটি দেয়া হলে রাজধানীতে বড় ধরণের গণ জমায়েত করতে চায় তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের (বাসাছাপ) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন শনিবার (৩ অক্টোবর) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের ফলে অনেক চাকরিপ্রার্থীর বয়স শেষ হয়ে গেছে। সরকার যদিও ৬ মাস বয়স শিথিল করেছে তবে আমাদের দাবি বয়স ৩৫ করার। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।
পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এর আগে অনেক আন্দোলন করেছি। তবে নানা কারণে সেগুলো সফলতার মুখ দেখেনি। সেজন্য এবার আমরা পরিকল্পনা মাফিক আন্দোলন করে আমাদের দাবি আদায় করবো। প্রাথমিকভাবে আমরা এখন বিভাগগুলোতে সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের কমিটি দিচ্ছি। বিভাগগুলোতে কমিটি দেয়ার কাজ শেষ হলে আমরা সবাইকে নিয়ে রাজধানীতে বড় জমায়েত করবো। তখন সরকার আমাদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হবে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছরের শুরু থেকেই সব ধরনের চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ প্রায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তীব্র হতাশায় পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। এ অবস্থায় তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির দাবি ওঠে। সবকিছু বিবেচনায় সরকার চাকরিতে বয়সের শর্ত কিছু শিথিল করার উদ্যোগ নিয়েছে।
সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, গত ২৫ মার্চ যাদের ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে তাদেরকেও সব ধরনের সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেয়া হবে। পাঁচ মাসের জন্য তাদেরকে ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। করোনার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তবে এটি চাকরিপ্রার্থীদের খুব সামান্য একটি অংশ লাভবান হবেন বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, গত দুই দশকে বেশ কয়েকবার দেশ সঙ্কটের মুখে পড়েছে। বিশেষ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সৃষ্ট অনিশ্চয়তার কারণে তারা দু’বছর হারিয়েছেন। পরে আরও কয়েকবার নানা কারণে তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। কিন্তু সে ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়নি কোনো সরকারই। এবার করোনার কারণে ফের সেই ক্ষতির মুখে তারা।
এ অবস্থায় সামগ্রিকভাবে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করা হলে সবাই উপকৃত হবেন বলে মনে করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের মতে, এমনিতেই করোনার কারণে অন্তত দু’বছর হারিয়ে যাচ্ছে। আর আগে থেকেই বয়স বাড়ানোর একটি দাবি রয়েছেই। সবমিলিয়ে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়িয়ে ৩৫ বছর করা হলে সবাই উপকৃত হবেন। সে কারণে আবারও দাবি আদায়ে সরব হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।