এনটিআরসিএর নিয়োগ পেয়েও পথে পথে ঘুরছেন তারা

লোগো
লোগো  © ফাইল ফটো

জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা কাজে যোগ দিতে না পেরে পথে পথে ঘুরছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা এনটিআরসিএতে শিক্ষকের শূন্য পদের ভুল চাহিদাপত্র দেওয়ার কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।

কোনো শূন্য পদ না থাকলেও কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা এনটিআরসিএতে শিক্ষকের চাহিদা দিয়েছিলেন। উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে যাচাই হয়ে তা এনটিআরসিএতে এসেছিল। কিন্তু সেখানে ছিল অজস্র ভুল। আর এই ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে সহস্রাধিক চাকরিপ্রার্থী। মেধার লড়াই করে জয়ী হয়েও তারা চাকরিতে যোগ দিতে পারছেন না।

অন্যদিকে অনেক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হয়েও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে এনটিআরসিএতে। এতেও নিয়োগ পেয়ে অনেক শিক্ষক কাজে যোগদান করতে গিয়ে দেখেন সেটি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর ফলে তারা সরকারি বেতন পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, ভুল চাহিদা দেওয়ায় সারাদেশের ৯০৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান ভুল তথ্য দেওয়ায় এক হাজার ১৭৩ জন প্রার্থী নিয়োগ নিয়ে জটিলতায় পড়েছেন।

এদিকে ৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও পদে শিক্ষকের চাহিদা দিলে এখন সেসব পদ নন-এমপিও বলে ঘোষণা করে। এর ফলে ৩৫ জন চাকরিপ্রার্থী এমপিওভুক্ত হতে পারেননি। এসব তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) পাঠিয়েছে এনটিআরসিএ। দায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষকদের নিয়ে এ জটিলতা সম্পর্কে জানতে চাইলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আকরাম হোসেন জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের এনটিআরসিএ শিক্ষক নিয়োগে যেসব প্রতিষ্ঠানে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে সেগুলোর তালিকা করেছি আমরা। ইতোমধ্যে তালিকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া কথা জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ