বন্ধের কারণে ৩৫ নয়, চাকরি আবেদনের বয়স ৩৬ করার দাবি
করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি উন্নতি না হলে এ বছরের আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ পরিস্থিতে সরকারি চাকরিতে প্রবেশেরে বয়সসীমা ৩৫ করাসহ ৪ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করে আসা শিক্ষার্থীদের একটি অংশ তাদের দাবি ৩৫ থেকে ৩৬ বছর করেছেন।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে ৩৫ আন্দোলনের নেতা ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের প্রধান সম্বয়ক মুজাম্মেল মিয়াজী বিষয়টি জানিয়েছেন। পূর্বের শিক্ষা জীবনে তাদের সেশন জটিলতার অভিজ্ঞতায় আজ প্রধানমন্ত্রীর নতুন সিদ্ধােন্তের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা জীবনে আরও এক বছর যুক্ত হওয়ার আশঙ্ক থেকে নতুন এ দাবি জানানো হয়েছে।
মুজাম্মেল মিয়াজী বলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ দীর্ঘদিন থেকে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করাসহ ৪ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। বর্তমান এই সরকারও কথা দিয়েছিল তারা ক্ষমতায় আসলে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করবে। কিন্তু তাঁরা এখনও বয়সসীমা বৃদ্ধি নিয়ে প্রায় ২৮ লক্ষ শিক্ষিত সমাজের সাথে তালবাহানা করে চলছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে সম্ভাব্য আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষনা দিয়েছেন। এতে কমপক্ষে আরো এক বছরে সেশনজটে পড়তে যাচ্ছে দেশের সকল শিক্ষার্থীরা। যেমন করে শিক্ষা জীবন থেকে সেশনজট ৩-৪ বছর হারিয়ে ছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মিয়াজী বলেন, আমাদের পূর্ব যৌক্তিক আন্দোলন ৩৫ এর সঙ্গে করোনার ১ বছর ‘লস টাইম’ যুক্ত করে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৬ করাসহ ৪ দফা আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ। করোনার ‘লস টাইম’ বৃদ্ধি পেলে আমাদের আন্দোলনের ৩৬ এর সাথে সেই সময় যুক্ত হবে।
এদিকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতে চাকরিপ্রার্থীদের বয়সকে বিশেষ বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। যাদের বয়স ৩০ বছরের খুব কাছাকাছি বা মাসখানেক আগে ৩০ বছর অতিক্রম হয়ে গেছে তাঁদের জন্য সুখবরের কথা জানানো হয়েছে। করোনাকালের বিশেষ পরিস্থিতিকে ‘লস টাইম’ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যেসব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আসছে সেগুলোতে আবেদন করার সুযোগ দেয়ার বিষয়ে একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানোর চিন্তা করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আন্দোলনকারীদের ৪ দফা দাবি হলো- চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৩৫ বছরে উন্নীত করা; চাকরির আবেদন ফি কমিয়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা; চাকরির নিয়োগ পরীক্ষাগুলো জেলা কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ে নেওয়া ও চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা এবং সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।