‘সংসদে যখন বলা হয়, ৪ শতাংশ মানুষ বেকার, তখন হাসি পায়’
‘সংসদে যখন বলা হয়, ৪ শতাংশ মানুষ বেকার, তখন হাসি পায়। এসব গালগল্প ছাড়া আর কিছুই নয়’ বলে জানিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলি খান।
আকবর আলি খান রচিত দারিদ্র্যের অর্থনীতি: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বুধবার এ কথা বলেন তিনি। প্রথমা প্রকাশন বইটি প্রকাশ করেছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) তাদের বনানী কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আকবর আলি খান বলেন, শিল্পবিপ্লবের আগে দারিদ্র্যকে জীবনের অংশ মনে করা হতো। ১৯৫০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি দরিদ্র লোক ছিল। তিনি মনে করেন, দারিদ্র্য মাপার যত পদ্ধতি আছে, সব কটিতেই কিছু না কিছু ত্রুটি আছে। যেমন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের (এসজিডি) ১৬৯টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের ভিত্তিতে যদি ‘দারিদ্র্য থাকবে না’ বিবেচনা করা হয়, তাহলে আগামী ৫০ থেকে ১০০ বছরেও দারিদ্র্য নির্মূল করা সম্ভব হবে না।
আকবর আলি খান আরও বলেন, ‘দারিদ্র্য দূর করায় অন্য দেশের তুলনায় ভালো করছি’—এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নই। ১৯৭২-৭৩ সালে দারিদ্র্য বিমোচনে ৪০-৪২টি দেশের পেছনে ছিল বাংলাদেশ। তখন বিশ্বব্যাংকের সদস্য দেশ ছিল ১৪০টির মতো। এখন ২০৩টি দেশ। বাংলাদেশ এখন নিম্নতম ৩০ শতাংশ দেশের মধ্যে আছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান জাইদী সাত্তার। আরও বক্তব্য দেন পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর, কানাডার কনকর্ডিয়া ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক মইনুল আহসান, সাবেক বাণিজ্যসচিব সোহেল আহমেদ চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ প্রমুখ।