দুদকের নিয়োগ পরীক্ষার ফল নিয়ে যা বললেন টেলিটক
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহকারী পরিচালকের ১৩২টি শূন্যপদে প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষার ফলাফলে সিট প্ল্যানের বাইরে একজনের উত্তীর্ণ হওয়া নিয়ে প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছে টেলিটক। টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের মার্কেটিং অ্যান্ড ভ্যাস বিভাগের ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ আল-রাজ্জাকুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুদকের সহকারী পরিচালক পদের প্রার্থীদের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৯২ হাজার ৯৫৪ জন প্রার্থীর অনুকূলে প্রবেশপত্র ইস্যু করা হয় এবং সেভাবেই আসন বিন্যাস প্রণয়ন করা হয়। প্রবেশপত্র ইস্যু করার পর যাদের অনুকূলে প্রবেশপত্র ইস্যু করা হয়নি, তাঁদের কতিপয় আবেদনকারী দুদক বরাবর আবেদন করেন।
এরপর দুদকের অনুরোধে টেলিটকের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আবেদনপত্র পুনরায় যাচাই-বাছাই করে ২৬২ জন প্রার্থীর আবেদনপত্র বৈধ হয়। পরে চিঠি দিয়ে তা দুদককে জানানো হয়। দুদকের অনুরোধে শেষ মুহূর্তে ২৬২ জন প্রার্থীর নামে প্রবেশপত্র ইস্যু করা হয়। তাঁদের মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা পাঠানোর মধ্যমে পরীক্ষাকেন্দ্রে উল্লেখ করে বিষয়টি জানানো হয়। এসব কারিগরি ত্রুটির কারণে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে টেলিটক।
এর আগে গতকাল শনিবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহকারী পরিচালকের ১৩২টি শূন্যপদে প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষার ফলাফলে একজনের উত্তীর্ণ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দেখা গেছে পরীক্ষার আসনবিন্যাসে (সিট প্ল্যান) উল্লেখ করা সর্বশেষ রোল নম্বরের বাইরে থেকে একজন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। আর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের অনেকে।
এসব সমালোচনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দুদক বলেছে, মুঠোফোন অপারেটর টেলিটকের ‘যাচাই-বাছাইয়ে’ দেরি হওয়ার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এটি নিয়ে সংশয়ের কিছু নেই। শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।