০৪ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:৫৭

হস্তশিল্পে আত্মকর্মসংস্থানের পথ দেখাল স্কুল শিক্ষার্থীরা

  © সংগৃহীত

দিনাজপুরের সারদেশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা বিদ্যার পাশাপাশি পুঁথিগত বাস্তবে কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নিজেরাই হস্তশিল্প তৈরি করে শিক্ষার ব্যয় মেটাচ্ছে তারা। ফলে কর্মমুখী শিক্ষার্থীদের অর্থ উপার্জনের পথ সৃষ্টির কারণে স্কুলে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমে এসেছে।

শিক্ষার্থীদের তৈরি পণ্য স্কুল ক্যাম্পাসেই বিক্রি হচ্ছে বলে জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। হস্তশিল্পের কাজ শিখে থেমে নেই শিক্ষার্থীরা। শুরু হয় বিভিন্ন পণ্য তৈরির কাজ। তাদের হাতে তৈরি বিভিন্ন পণ্য-সামগ্রী শিক্ষকদের সহায়তায় স্কুল ক্যাম্পাসেই বিপণন কেন্দ্রে বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থে নিজেদের লেখা-পড়ার ব্যয় মেটাচ্ছে তারা। বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বিষয়ের মধ্যে ‘কর্ম ও জীবনমুখি শিক্ষা’ নামে একটি বিষয় রয়েছে। এ বিষয়টিকে সামনে রেখে স্কুলের শিক্ষকরা বাস্তবে কর্মমুখী করে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষার্থীদের হস্তশিল্প শিক্ষাদান শুরু করেন।

সারদেশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার রায় বলেন, তারা যেন স্বাবলম্বী হতে পারে সেজন্য আমরা বিপণন কেন্দ্র স্থাপন করেছি।

শিক্ষকরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃজনশীল মেধা বিকাশে কিছু কাজ তারা শিখিয়েছেন। এ কাজের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে। আর এসব হস্ত শিল্পের বিপণন কেন্দ্রও স্থাপন করা হয়েছে স্কুলে।

শিক্ষিকা আফসানা আক্তার বলেন, এসব হাতের কাজ শেখার মাধ্যমে তারা আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে।

২০১৯ সালের প্রথম দিকে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃজনশীল মেধা বিকাশে হস্তশিল্প প্রশিক্ষণ শুরু হয়। লেখাপড়ার পাশাপাশি ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেরাই এখন পণ্য তৈরি করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।