২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:২৬

কনকনে শীতের মধ্যেই চলছে ৩৫ প্রত্যাশীদের অনশন

  © সংগৃহীত

চাকরিতে আবেদনের বসয়সীমা ৩৫ বছর করাসহ চার দাবিতে আমরণ অনশন অব্যাহত রেখেছেন ৩৫ প্রত্যাশীরা। শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ায় এখন পর্যন্ত বেশ কয়েক জন অসুস্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদের মধ্যে আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক সুরাইয়া ইয়াসমিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করাসহ ৪ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত ৬ ডিসেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত গণঅনশন করেন ‘৩৫ চাই’ আন্দোলনকারীরা।

তাদের ৪ দফা দাবি হলো- চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৩৫ বছরে উন্নীত করা; চাকরির আবেদন ফি কমিয়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা; চাকরির নিয়োগ পরীক্ষাগুলো জেলা কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ে নেওয়া ও চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা এবং সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।

অনশনের বিষয়ে আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মুজাম্মেল মিয়াজী বলেছেন, ‘দীর্ঘ ১৬ দিন ধরে আমরা কর্মসূচী পালন করে আসছি। গত পাঁচদিন যাবৎ আমরণ অনশনে বসেছি। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার সাড়া না পাওয়াতে আমরা ক্ষুদ্ধ হয়ে ফের আমরণ অনশনের বসেছি।’

তীব্র শীতের মধ্যে অনশনকারীরা অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরণ অনশনে না খেয়ে সুরাইয়া ইয়াসমিন অজ্ঞান হয়ে যায়। প্রায় ৭ ঘণ্টা সুরাইয়া ইয়াসমিন অজ্ঞান থাকার পর ঢাকা মেডিকেল থেকে স্যালাইন নেয়া অবস্থায় আবারো আমরণ অনশনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যোগ দেন। এরপর একে একে রেশমা আক্তার, উজ্জল কুমার, মোশারফ হোসেন সুহেল বেশি দুর্বল হয়ে পড়লে তাঁদেরকে স্যালাইন দেওয়া হয়।

মুজাম্মেল মিয়াজী বলেন, ‘কনকনে শীতের মধ্যে আমরণ অনশনে আমরা অনেকটা জীবন হারানোর ঝুঁকিতে আছি। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত আবেদন প্রায় ২৮ লক্ষ শিক্ষিত যুব সমাজের কথা চিন্তা করে মেধাবীদের রক্ষা করতে আপনার সন্তানদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিন।’

আন্দোলনকারীরা বলেন, সেশটজটে যে চার বছর হারিয়েছি কে আমাদের ফিরিয়ে দিবে এই সময়গুলো। আজ দেশের মানুষের গড় আয়ু ৫৭ থেকে ৭৩ হয়েছে। তবে কেন আবেদনের বয়সসীমা বাড়বে না। এছাড়া বাড়ানো হয়েছে অবসরের বয়সসীমা। বিশ্বের সাথে উন্নয়নের তাল মিলিয়ে চললে তবে কেন আবেদনের বয়সসীমা বাড়বে না।