কাফন সমাবেশ ও গণঅনশন করতে দেয়নি পুলিশ
চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলনকারীদের কাফন সমাবেশে ও গণঅনশন পালন করতে দেয়নি পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তাদের চলমান কর্মসূচি পালনে নিরাপত্তার অজুহাতে বাধা প্রদানের অভিযোগ করেছে আন্দোলনকারীরা।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক মুজাম্মেল মিয়াজী বলেন, চাকরি আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করাসহ ৪ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে আমরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণঅনশনের কর্মসূচী শুরু করি। এর অংশ হিসেবে আজ সপ্তম দিনে আমরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কাফনের কাপড়সহ গণঅনশনের প্রস্তুতি নিই। এসময় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের দিন হওয়ায় নিরাপত্তার অজুহাতে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে বাধা দেয়। একইসঙ্গে কর্মসূচি পালন না করে উঠে যেতে বাধ্য করে। পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিতরে অবস্থান করে আন্দোলনকারীরা।
এদিকে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পুনরায় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলনকারীদের কাফন সমাবেশে ও গণঅনশন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
৩৫ আন্দোলনের সমন্বয়ক সুরাইয়া ইয়াসমিন বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশি বাধার ঘটনায় স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসাবে আমরা খুব লজ্জিত। একজন নাগরিক যৌক্তিক যেকোন আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে করতেই পারে। এতে বাধা দেওয়া মানে নাগরিক অধিকার খর্ব করা।
৪১তম বিসিএসের আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ অন্তর্ভুক্ত করে পুনরায় সার্কুলারের দাবিতে এবং প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত না পাওয়া পর্যন্ত এই কাফন সমাবেশ ও গণঅনশন চলবে বলে জানান তিনি।
এদিকে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ সহ ৪ দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার চট্রগ্রাম, রংপুর, ঠাঁকুরগাও, নেত্রকোনা, সিলেট, রাজশাহী, বগুড়া, কিশোরগঞ্জ, বরিশাল এবং চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলা শহরে গণঅনশন অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে ।
দীর্ঘদিন যাবৎ চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ গত শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণঅনশন শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। তারা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।
তাদের ৪ দফা দাবি হলো- চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৩৫ বছরে উন্নীত করা; চাকরির আবেদন ফি কমিয়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা; চাকরির নিয়োগ পরীক্ষাগুলো জেলা কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ে নেওয়া ও চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা এবং সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।