২৬ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট আবরারের পরিবার
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বুয়েট থেকে ২৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের ঘটনায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে তাঁর পরিবার।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে বুয়েট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে আবরারের মা রোকেয়া খাতুন ও ভাই আবরার ফাইয়াজ এই সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ২৬ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করে বুয়েট প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে অন্য ছয় শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়। আবরার হত্যার ঘটনায় বুয়েটের করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বুয়েটের বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিন এ সিদ্ধান্ত নেয়। বহিষ্কৃত ২৬ জনের মধ্যে ২৫ জন পুলিশের অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আবরারের মা রোকেয়া খাতুন জানান, ‘দেরিতে হলেও বুয়েট প্রশাসন ওদের ছাত্রত্ব চিরতরে বাতিল করেছে, তাতে আমি সন্তুষ্ট। বুয়েট প্রশাসন, পুলিশ ও সংবাদমাধ্যমসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। এখন যেন হত্যা মামলার দ্রুত রায়ের পর শাস্তি কার্যকর করা হয়।’
বুয়েট প্রশাসনকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাকি দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আবরারের মা বলেন, ‘আমার ছেলের জন্য তারা যা করেছে তাতে আমি কৃতজ্ঞ। বুয়েট প্রশাসন যেন শিক্ষার্থীদের অন্য দাবি দুটি দ্রুত মেনে নেয়।’
প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ বলেন, ‘এখন দাবি একটাই, দ্রুত যেন বিচার শেষ হয়। আর আসামিরা যেন রায়ের আগে জামিন না পায়।’
প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। এ ঘটনার পর থেকে প্রথমে ক্যাম্পাসে আন্দোলন ও পরে একাডেমিক অসহযোগে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এতে বুয়েট কার্যত অচল রয়েছে। ওই ঘটনায় আবরারের বাবার করা মামলায় ১৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ।