প্রতিকার হয়নি, এবারও পরীক্ষার সাদা খাতা জমা দিতে হবে
শ্রুতলেখকের অনুমতি না পাওয়ায় এবারও চাকরির পরীক্ষায় সাদা খাতা জমা দিতে হবে চাকরিপ্রত্যাশী যুবক সুদীপকে (২৯)।
রিটের শুনানির পর আজ বৃহস্পতিবার আদালত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। এ কারণে সুদীপের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কুমার দেবুল দে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শ্রুতলেখক প্রদানের বিষয়ে কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় সুদীপের এবারও পরীক্ষা দেওয়া হচ্ছে না। তবে পরীক্ষার হলে যাবেন তিনি। সুদীপ এবারও সাদা খাতা জমা দিয়ে আসবেন।
দুবার সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রবেশপত্র পান দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সুদীপ। পরীক্ষা দিতে হলে শ্রুতলেখকের সহায়তা লাগে তাঁর। ২০১৭ সালে প্রবেশপত্র পেলেও পরীক্ষা দেননি। শ্রুতলেখকের অনুমতি না মেলায় গত বছরও সাদা খাতা জমা দিয়ে পরীক্ষার হল থেকে বের হয়েছেন এই যুবক। পরীক্ষার হলে যে সময়টুকু ছিলেন, অন্যদের সহায়তায় নামসহ শুধু টুকটাক তথ্য পূরণ করেছেন। এবারও বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের (বিজেএসসি) ১৩তম সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রবেশপত্র পেয়েছেন। ৮ নভেম্বর শুক্রবার পরীক্ষা। এবারও সুদীপের শ্রুতলেখকের অনুমতি মিলল না। এ কারণে পরীক্ষায় সাদা খাতা জমা দেওয়া ছাড়া উপায় নেই বলে মনে করেন সুদীপ।
চাকরির বয়সের প্রায় শেষ সীমায় এসে সুদীপ যুদ্ধটা চালিয়ে যেতে চান। কিন্তু সেই সুযোগ তিনি পাচ্ছেন না। তাঁর ভাষায়, ‘আমি না পারলেও অন্য কোনো সুদীপ হয়তো সুযোগটা পাবেন।’
ময়মনসিংহের ছেলে সুদীপ। বর্তমানে থাকেন চট্টগ্রামে। ২০০৭ সালে এসএসসি এবং ২০০৯ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন সুদীপ। ২০১৬ সালে সেখান থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেন। সুদীপ ছোটবেলা থেকেই ক্ষীণদৃষ্টিসম্পন্ন। এক চোখে কিছুটা দেখতেন। চোখের সামনে বই নিয়ে পড়তে হতো। তবে আস্তে আস্তে দুই চোখের দৃষ্টি চলে যায়। তাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে পড়ার সময় বন্ধুরা তাঁকে পড়ে পড়ে মোবাইলে রেকর্ড করে দিতেন। সুদীপ শুনে শুনে পড়তেন।