৩৫ আন্দোলন গতিশীল করতে মতবিনিময় সভা
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলনরত বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ তাদের আন্দোলন আরও গতিশীল করার লক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলার সমন্বয়ক এবং নেতা-কর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করবে। বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক এম এ আলি।
এম এ আলি বলেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে সারাদেশ ব্যাপী আমাদের কর্মসূচী চলবে। এছাড়া ৩১ আগস্ট আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশ করবো। এই সমাবেশ গুলো সফল করার জন্য এবং আন্দোলনে উপস্থিতি বাড়ানোর লক্ষে আমরা দেশের বিভিন্ন জেলায় মতবিনিময় সভার আয়োজন করছি। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেল ৩ টায় জামালপুর সরকারি আশিক মাহমুদ কলেজের সামনে ৩৫ প্রত্যাশীদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের মুখপাত্র ইমতিয়াজ হোসেন এবং প্রধান সমন্বয়ক হারুন উপস্থিত থেকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিবেন। তিনি জামালপুর জেলার ৩৫ প্রত্যাশী সহযোদ্ধাদের উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষভাবে আহবান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে ২০১২ সাল থেকে আন্দোলন করে আসছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তবে জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে নাকচ হয়েছে ৩৫-এর সব চাওয়া-পাওয়া। তারপরও আন্দোলন থেকে সরে আসেননি আন্দোলনকারীরা। সাংগঠনিকভাবে কিছুটা গুছিয়ে উঠে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। এ প্রক্রিয়ায় রয়েছেন আন্দোলনকারীদের সংগঠক ফেরদৌস জিন্নাহ লেলিন, সঞ্জয় দাসসহ আরও অনেকে।
জানা গেছে, সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন সফলতার মুখ দেখলেও এখনো চলছে ‘৩৫ চাই’ আন্দোলন। চলতি বছরে এসেও কয়েক দফা কর্মসূচি পালন ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটেছে গ্রেফতারের ঘটনাও। এরইমধ্যে তাদের মধ্যে নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব ও মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় আন্দোলন কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছিলো।
তবে সেই দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে বলে জানিয়েছেন ৩৫ চাই আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। তবে সংসদে নাকচ হয়ে যাওয়ায় নতুন কর্মসূচিতে সরকারের বাঁধা আসতে পারে বলে আন্দোলনের নেতাকর্মীরা অনেকে মনে করছেন। তবে এতে তারা বিচলিত নন বলেও জানিয়েছেন।
গত ২৫ এপ্রিল চাকরি প্রত্যাশীদের বহুল কাঙ্ক্ষিত চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার প্রস্তাব জাতীয় সংসদে ওঠে। তবে তা নাকচ করে দিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, পড়াশোনা শেষ করার পর একজন ছাত্র অন্তত সাত বছর সময় পেয়েছে। এটা অনেক সময়। তাছাড়া এর আগে চাকরির বয়স ২৫ বছর ছিল, সেখান থেকে ২৭ ও পরবর্তীতে ৩০ বছর করা হয়। সে হিসেবে এখন বাড়ানোর যৌক্তিকতা নেই।
এ সময় তিনি প্রস্তাব উত্থাপনকারী সংসদ সদস্যকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আহবান জানান এবং প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। কিন্তু বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য মো. রেজাউল করিম বাবলু সেটি প্রত্যাহারে রাজি না হলে কণ্ঠভোটের আয়োজন করা হয়। কণ্ঠভোটে প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দেন সংসদ সদস্যরা। মূলত প্রস্তাবটি পাস না হওয়াতেই তীব্র হতাশ হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।