আবারও কর্মসূচি দিল ৩৫ আন্দোলনকারীরা
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আবারো আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে ৩৫ প্রত্যাশীরা। আগামী শনিবার (২০ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণজমায়েতের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ। ওইদিন সকাল ১০টা থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র ইমতিয়াজ হোসেন।
ইমতিয়াজ হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের আন্দেলন করতে বলেছেন তাই আমরা আন্দোলনের মাধ্যমেই আমাদের দাবি আদায় করবো। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমাদের গণ জমায়েত হবে। আমাদের দাবি আদায়ে আমরা সরকারকে বাধ্য করেই ছাড়বো।
তিনি আরও বলেন, আজ রাতের মধ্যেই আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন করা হবে। এছাড়া আমরা মহানগর এবং ১০১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটির ঘোষণা করবো। এই কমিটির মাধ্যমেই আগামী দিনে আমাদের কর্মসূচী পালন করবো। আশা করছি এই কমিটি দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরবে।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক এম এ আলী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে দাবি আদায়ে বাধ্য করবো। ২০ তারিখের আন্দোলনে অনেক চমক থাকবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের আরেক প্রধান সমন্বয়ক হারুন-অর-রশিদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের দাবি যৌক্তিক। সমগ্র ছাত্র সমাজ আমাদের দাবির পক্ষে আছে। যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নেয়া না হবে ততদিন আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ সাত (৭) বছর ধরে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তবে জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে নাকচ হয়েছে ৩৫-এর সব চাওয়া-পাওয়া। তারপরও আন্দোলন থেকে সরে আসেননি আন্দোলনকারীরা। সাংগঠনিকভাবে কিছুটা গুছিয়ে উঠে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। এ প্রক্রিয়ায় রয়েছেন আন্দোলনকারীদের সংগঠক ফেরদৌস জিন্নাহ লেলিন, সঞ্জয় দাসসহ আরও অনেকে।
গত ২৫ এপ্রিল চাকরি প্রত্যাশীদের বহুল কাঙ্ক্ষিত চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার প্রস্তাব জাতীয় সংসদে ওঠে। তবে তা নাকচ করে দিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, পড়াশোনা শেষ করার পর একজন ছাত্র অন্তত সাত বছর সময় পেয়েছে। এটা অনেক সময়। তাছাড়া এর আগে চাকরির বয়স ২৫ বছর ছিল, সেখান থেকে ২৭ ও পরবর্তীতে ৩০ বছর করা হয়। সে হিসেবে এখন বাড়ানোর যৌক্তিকতা নেই।
এ সময় তিনি প্রস্তাব উত্থাপনকারী সংসদ সদস্যকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আহবান জানান এবং প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। কিন্তু বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য মো. রেজাউল করিম বাবলু সেটি প্রত্যাহারে রাজি না হলে কণ্ঠভোটের আয়োজন করা হয়। কণ্ঠভোটে প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দেন সংসদ সদস্যরা। মূলত প্রস্তাবটি পাস না হওয়াতেই তীব্র হতাশ হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।