উচ্চশিক্ষা না নিলেও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

কোনো শিক্ষার্থী যে পর্যায়ে গিয়েই শিক্ষা বন্ধ করতে বাধ্য হন কিংবা সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি আর উচ্চশিক্ষা নেবেন না, তারও যেন কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকে শিক্ষা পদ্ধতিতে সে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এছাড়া সরকার কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিচ্ছে বলে জানান তিনি। শনিবার দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা ভাষা, গণিত, বিজ্ঞান ও আইসিটি বিষয়ে যেমনি দক্ষতা অর্জন করবে তেমনি মানবিকতা দেশপ্রেম মূলবোধও শিখবে। পরে মন্ত্রী চাঁদপুর সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে নিজ তহবিল থেকে গরিব-অসহায়দের মধ্যে চেক বিতরণ করেন।

এ সময় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, চাঁদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতাউর রহমান পারভেজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 চাকরিমুখী পড়ালেখা করলে উচ্চশিক্ষার দরকার নেই: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, চাকরিমুখী পড়ালেখা করলে তাদের উচ্চশিক্ষা দরকার নেই। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোডিং করে পরীক্ষা নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষায় গোল্লা ভরাট বাদ দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শুক্রবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘উচ্চশিক্ষা চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

এসময় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনয়নের কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সকল ক্ষেত্রে আমরা স্বচ্ছতা চাই। এর বাহিরে ভিন্ন কিছু চাই না। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ক্ষেত্রে শিক্ষক নিয়োগে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ আছে। আর এর মাধ্যমে এখানে পরিপূর্ণ স্বচ্ছতা আনা হয়েছে। এখন সেটিকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আমরা কিভাবে করবো সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করার সময় এসেছে।

তিনি মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি সৎ হলাম না, আমি পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হলাম না, তাহলে সেই শিক্ষাকে আমি মানসম্মত শিক্ষা বলতে পারব না। এর সাথে কমিউনিকেশন স্কিল, সহ-শিক্ষা কার্যক্রম বাড়াতে হবে। তা হলে পেশাগত জীবনে দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারবে।

এর আগে শিক্ষার্থীরা প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন, লাইব্রেরী, শিক্ষক সংকট, গবেষণা ও গুণগত শিক্ষার অভাবের কথা উলেখ করলে সেগুলো পূরণ করার আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানের মুখ্য বক্তা ছিলেন— ঢাবি সমাজবিজ্ঞান বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিতে এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আশফাকুর রহমান ও ডাকসুর আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহরিমা তানজিম অর্নি।


সর্বশেষ সংবাদ