সাল নির্ধারণ নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বিড়ম্বনার সমাধান
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ওএমআর শিটে কোন বছর পূরণ করবেন তা নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। পরীক্ষার বছরের শূন্যস্থানে ২০১৮ লিখবেন না, ২০১৯ লিখবেন তা নিয়ে দ্বিধান্বিত হয়েছেন অনেকেই।
পরীক্ষার্থীরা বলছেন, ২০১৯ সালে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে অনেকেই শূন্যস্থানে ‘২০১৯’ লিখছেন। অনেক কক্ষ পরিদর্শকও এ ধরনের নির্দেশনা দিচ্ছেন। লিখিত পরীক্ষার ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশনায় ২০১৯ লেখার কথা বলা হয়েছে প্রার্থীদের।
তবে এই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮' বলে আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তাই, ওএমআর শিটের কোন বছর উল্লেখ করবেন তা নিয়ে প্রার্থীদের মনে রয়েছে অনেক প্রশ্ন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ বলেন, ২০১৮ সালে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরীক্ষা নিতে আমাদের একটু দেরি হয়েছে। তাই, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিটে ‘২০১৮’ লিখতে হবে। তিনি আরও জানান, কোনো প্রার্থী যদি ওএমআর শিটে সনের শূন্যস্থানে ভুল করেন তাহলেও অসুবিধা নেই। ওএমআর এর ঐ অংশটি কম্পিউটার রিড করবে না।
উল্লেখ্য, গত ৮ মে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ৪ ধাপের লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ১ম দফায় প্রকাশিত সময়সূচিতে এ প্রক্রিয়াকে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮’ বলে উল্লেখ করা হয়। জেলা ওয়ারী পরীক্ষার সূচিতেও এমনটা বলা হয়েছিল। এরপর গত ১৬ মে শিক্ষক নিয়োগের শেষ দুই ধাপের সময় পরিবর্তন করা হয়। এ আদেশেও এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায়কে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮’ বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে। জেলা ওয়ারী সংশোধিত সূচিতে তাই বলা হয়েছে। গত ২ মে প্রকাশিত প্রবেশপত্র ডাউনলোড সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতেও এমনটা উল্লেখ করা হয়।