০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:০৬

২১৬৯ পদে প্রকাশিত প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল দাবি

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়  © টিডিসি সম্পাদিত

প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি ও প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিকে অবৈধ দাবি করে এটি বাতিল চেয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। ৪ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ‌'বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা বহু বছর ধরে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সম্প্রতি একটি অবৈধ ও শিক্ষকবিরোধী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে; যা প্রাথমিক শিক্ষকদের স্বার্থের পরিপন্থী এবং দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবিকে উপেক্ষা করে।' বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ, 'বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কেন্দ্রীয় কমিটি) স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে— প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি ছাড়া অন্য কোনো প্রক্রিয়া গ্রহণযোগ্য নয়; পিএসসির অবৈধ বিজ্ঞপ্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে এবং প্রাথমিক শিক্ষকদের অধিকার নিয়ে কোনো প্রকার তামাশা আর সহ্য করা হবে না।'

দাবির প্রেক্ষিতে আজ বিকাল ৩টায় আগারগাঁও সরকারি কর্ম কমিশন ও সচিবালয় প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি।

এর আগে গত ৩১ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বড় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) মোট ২ হাজার ১৬৯টি পদের জন্য প্রকাশিত এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের জন্য ১১তম গ্রেড এবং প্রশিক্ষণবিহীনদের জন্য ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করা হয়েছে। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী এই গ্রেড নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদনের যোগ্যতায় বলা হয়েছে, ক) কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি; এবং খ) শিক্ষা জীবনে কোনো স্তরে তৃতীয় বিভাগ অথবা সমমানের জিপিএ অথবা তৃতীয় শ্রেণি অথবা সমমানের সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না।

১০০ নম্বরের পরীক্ষায় অনুষ্ঠিতব্য এই নিয়োগের পরীক্ষা লিখিত আকারে হওয়ার কথা জানায় পিএসসি। এর মধ্যে ৯০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞান ও সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী) থাকবে। লিখিত পরীক্ষার পাসের সর্বনিম্ন নম্বর ৫০ শতাংশ। এছাড়া মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ১০। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীগণ মৌখিক পরীক্ষার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন।