১৭ এপ্রিল ২০১৯, ২০:০৪

২০ এপ্রিল ‘৩৫ চাই’ প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ

  © ফাইল ফটো

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩৫ করার দাবিতে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে। আগামী ২০ এপ্রিল বিকাল ৩টায় রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই মহাসমাবেশের ডাক দেয় ‘৩৫ চাই’ আন্দোলনকারীরা। জানা গেছে, সমাবেশে ঢাকাসহ দেশের প্রায় সব জেলা থেকে অংশগ্রহণ করবেন চাকরি প্রত্যাশীরা।

বুধবার বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ (কেন্দ্রীয় কমিটি) আয়োজিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় কমিটির আহ্বায়ক ও সব যুগ্ম-আহ্বায়কদের সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়। তারা সারাদেশের ৩৫ প্রত্যাশীদের আগামী ২০ এপ্রিলের সমাবেশে সবান্ধব উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

এদিকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো যৌক্তিক মনে করে এই দাবি পূরণের লক্ষ্যে সংসদ অধিবেশনে সিদ্ধান্ত প্রস্তাব আনা হচ্ছে। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এ প্রস্তাব আনবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হবে আগামী ২৪ এপ্রিল। ইতোমধ্যে সংসদের আইন শাখা-২ সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি জমা দিয়েছেন। সংসদে সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি গৃহিত হলে এ বিষয়ে সরকারের কাজ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। 

তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি তরুণ সমাজের দীর্ঘদিনের। এটি আমার কাছে একটি যৌক্তিক দাবি বলে মনে হয়, এ জন্য সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি আনা হবে। আমার সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি হলো, ‘সংসদের অভিমত এই যে, সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬২ করা হোক।’

বাংলাদেশে সরকারি চাকরি শুরুর করার বয়স-সীমা বাড়ানোর দাবিতে গত সাতবছর ধরে আন্দোলন করে আসছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ। তাদের দাবি বর্তমানে বেঁধে দেওয়া বয়স ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করতে হবে। এরই প্রেক্ষিতে এবং চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে সরকারের কাছে আরো জোরালোভাবে দাবি জানানোর লক্ষ্যে নতুন এই কর্মসূচি।

এছাড়া ডাকসুর সহ-সভাপতি নুরুলহক নুর ও জিএস গোলাম রাব্বানীসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এই দাবিতে সমর্থন দিয়েছেন। এ কর্মসূচি সফল করতে ব্যাপক প্রচারণাও শুরু করেছেন আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা।

২৪ এপ্রিল থেকে যে স্বল্প মেয়াদী সংসদ অধিবেশন বসবে সেই অধিবেশনেই ৩৫ বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাব পাশ করে ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই সরকার ৩৫ বাস্তবায়ন করে দিবে এবং গেজেট আকারে প্রকাশ করবে বলে আশা করেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের নেতারা। যদি এই সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন না করা হয় তাহলে রমজানের পর সারাদেশে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তারা জানান।