১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:২৫

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়াতে সংসদে প্রস্তাব আনছেন মেনন

  © ফাইল ফটো

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো যৌক্তিক মনে করে এই দাবি পূরণের লক্ষ্যে সংসদ অধিবেশনে সিদ্ধান্ত প্রস্তাব আনা হচ্ছে। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এ প্রস্তাব আনবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হবে আগামী ২৪ এপ্রিল। ইতোমধ্যে সংসদের আইন শাখা-২ সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি জমা দিয়েছেন। সংসদে সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি গৃহিত হলে এ বিষয়ে সরকারের কাজ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। 

তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি তরুণ সমাজের দীর্ঘদিনের। এটি আমার কাছে একটি যৌক্তিক দাবি বলে মনে হয়, এ জন্য সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি আনা হবে। আমার সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি হলো, ‘সংসদের অভিমত এই যে, সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬২ করা হোক।’

বাংলাদেশে সরকারি চাকরি শুরুর করার বয়স-সীমা বাড়ানোর দাবিতে গত সাতবছর ধরে আন্দোলন করে আসছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ। তাদের দাবি বর্তমানে বেঁধে দেওয়া বয়স ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করতে হবে। এরই প্রেক্ষিতে এবং চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে সরকারের কাছে আরো জোরালোভাবে দাবি জানানোর লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচিও দেওয়ারও প্রস্তুতি চলছে।

এতে ডাকসুর সহ-সভাপতি নুরুলহক নুর ও জিএস গোলাম রাব্বানীসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এই দাবিতে সমর্থন দিয়েছেন। এ কর্মসূচি সফল করতে ব্যাপক প্রচারণাও শুরু করেছেন আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা।

এর আগে এই দাবিতে সমর্থন জানিয়ে গোলাম রাব্বানীও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড আইডিতে ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ এ উন্নীত করার দাবি আমার কাছে অত্যন্ত যৌক্তিক মনে হয়। আমি নৈতিকভাবে এই দাবিকে সমর্থন করি।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রত্যাশা রাখি, লাখো বেকার ভাইবোনদের প্রাণের চাওয়াটি সরকার অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে দেখবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যদি চাকরিতে ৫৯ বছর বা অবসরের আগের দিন পর্যন্ত রাখতে পারে। তাহলে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ কেন চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে পারবে না?’

আরো দেখুন: নুর-রাব্বানীর সমর্থন চাইলেন ‘৩৫ চাই’ আন্দোলনকারীরা