নুর-রাব্বানীর সমর্থন চাইলেন ‘৩৫ চাই’ আন্দোলনকারীরা
‘৩৫ চাই’ আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নব নির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুলহক নুর এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানীর সমর্থন চাইলেন। সোমবার দুপুরে আন্দোলনকারীদের দুটি প্রতিনিধি দল তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে সাক্ষাত করে এই সমর্থন চান। এর আগে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি যৌক্তিক বলে মত দিয়েছিলেন তারা।
এদিকে বাংলাদেশে সরকারি চাকরি শুরুর করার বয়স-সীমা বাড়ানোর দাবিতে গত সাতবছর ধরে আন্দোলন করে আসছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ। তাদের দাবি বর্তমানে বেঁধে দেওয়া বয়স ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করতে হবে। এরই প্রেক্ষিতে এবং চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে সরকারের কাছে আরো জোরালোভাবে দাবি জানানোর লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে তারা। সে অনুযায়ী আগামি ১২ এপ্রিল থেকে ‘৩৫ চাই’ দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে টানা তিন দিনব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এতে ডাকসুর সহ-সভাপতি নুরুলহক নুর ও জিএস গোলাম রাব্বানীসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন তারা। এ কর্মসূচি সফল করতে ব্যাপক প্রচারণাও শুরু করেছেন আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনে সবাই সাড়া দিচ্ছে। আমরা আজ (সোমবার) দুপুর ১টার দিকে ডাকসু ভবনে ভিপি নুুরুরহক নুরের সাথে সাক্ষাত করি। আগামী ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনে সার্বিক সহযোগিতা এবং তাকে যোগ দেয়ার আহ্বান জানায়।
এছাড়া ‘৩৫ চাই’ আন্দোলনকারীদের আরেকটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ডাকসু সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানীর সমর্থন চাইতে যান। সোমবার দুপুরে তারা রাব্বানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের দাবি আদায়ে সার্বিক সহযোগিতা এবং সমর্থন দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এর আগে এই দাবিতে সমর্থন জানিয়ে গোলাম রাব্বানীও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। রবিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড আইডিতে ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ এ উন্নীত করার দাবি আমার কাছে অত্যন্ত যৌক্তিক মনে হয়। আমি নৈতিকভাবে এই দাবিকে সমর্থন করি।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রত্যাশা রাখি, লাখো বেকার ভাইবোনদের প্রাণের চাওয়াটি সরকার অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে দেখবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যদি চাকরিতে ৫৯ বছর বা অবসরের আগের দিন পর্যন্ত রাখতে পারে। তাহলে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ কেন চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে পারবে না?’