কোটা পুনর্বহালের দাবিতে গণভবন এলাকায় সড়ক অবরোধ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:৩১ AM , আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০২:২৬ PM
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালসহ ৬ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম’ ব্যানারে গণভবন মোড়ে সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশের বাধা পেরিয়ে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এক ঘন্টার মধ্যেই তারা অবরোধ থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়। তবে রাত সাড়ে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা ওই এলাকাতেই অবস্থান করছিল।
অবরোধ চেষ্টাকালে পুলিশের সঙ্গে একদফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশের একটি গাড়িসহ পথচারীদের ৫-৬ টি গাড়ি ভাংচুর করেছে। এসময় আসাদগেট মোড় থেকে গণভবন মোড়ের দিকে সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। মানিক মিয়া, মিরপুর রোড ও সংলগ্ন সড়কে যানজট তৈরি হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেনেয়।
জানা গেছে, গতকাল বিকাল পাঁচটায় এ সংগঠন শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এরপর তারা সেখান থেকে মিছিল নিয়ে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে যায় এবং সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। তখন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম তাদের কর্মসূচি স্থগিত করতে বললেও তারা কর্মসূচি চালিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তারা সেখান থেকে মিছিল নিয়ে এসে গণভরন এলাকায় সড়ক অবরোধর চেস্টা করে। ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম তুষার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত তারা ধারাবাহিকভাবে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
তাদের ৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, জাতির পিতা ও তার পরিবার বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অবমাননাকরীদের বিরুদ্ধে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি সকল চাকরিতে শতকরা ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহল, সংরক্ষণ, বিশেষ কমিশন গঠন করে প্রিলিমিনারি থেকে শতভাগ বাস্তবায়ন এবং স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সংরক্ষিত পদগুলো বিশেষ নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে। রাজাকারসহ স্বাধীনতা বিরোধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ, তাদের বংশধরদের সরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও নিয়োগে অযোগ্য ঘোষণা এবং চাকুরিজীবীদের ক্ষেত্রে চাকুরিচ্যুত করতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি পারিবারিক সুরক্ষা আইনপ্রণয়ন এবং প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী সকল প্রকার অপপ্রচার বন্ধ, কোটা, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে স্ব-ঘোষিত রাজাকার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির বাসভবনে হামলাসহ সকল প্রকার অরাজকতা সৃষ্টিকারী স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ও দ্রত আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের বয়সসীমা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি করতে হবে।
এর আগে কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার চাকরির ক্ষেত্রে কোটা প্রথা বাতিল করে।