তিন বছর কেটে গেল তবুও নিয়োগ হলো না
৩৭তম বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এখন ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাস চলছে। মাঝে কেটে গেছে প্রায় তিন বছর। প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা শেষ। চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পরও কেটে গেছে দীর্ঘ আট মাস। অথচ এখনও নিয়োগ পাননি চাকরিপ্রার্থীরা। প্রজ্ঞাপনের অপেক্ষায় দিন কাটছে তাঁদের।
বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর ৩৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। গত বছরের ১২ জুন প্রকাশ করা হয় চূড়ান্ত ফল। এতে ১ হাজার ৩১৪ জনকে বিভিন্ন ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। আর ৩ হাজার ৪৫৪ জনকে নন–ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষ তাদেরকে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের পুলিশি যাচাই প্রতিবেদন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছায়নি। সব প্রতিবেদন হাতে পেলেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। চলতি মাসেই সব প্রতিবেদন হাতে আসার ব্যাপারে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, মাঠ প্রশাসনকে এ জন্য তাগাদা দেয়া হয়েছে।
৩৭তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশ পাওয়া এক প্রার্থী বলেন, নিয়োগে দেরি হওয়ায় একদিকে ব্যক্তিগত হতাশা অন্যদিকে সামাজিক চাপ থাকে। আত্মীয়-স্বজনরা প্রশ্ন করেন, ‘আসলেই তোমার বিসিএস হয়েছে?’ বর্তমান গতির যুগে বিসিএস নিয়োগে এত সময়ক্ষেপন হতাশাজনক।
পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ পাওয়া আরেক প্রার্থী একটি ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। তিনি জানান, দুই মাস আগে তিনি সেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। এখন বেকার অবস্থায় হতাশ হয়ে পড়েছেন।
এ প্রসঙ্গে পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ৩৭তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হয়ে গেছে। পিএসসি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন যাচাই-বাছাইশেষে মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
তিনি বলেন, বিসিএস নিয়োগের কার্যক্রমে ইতোমধ্যে গতি এসেছে। একসঙ্গে অনেকগুলো বিসিএস পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে ৩৮তম, ৩৯তম ও ৪০তম বিসিএসের কার্যক্রম চলছে। শিগগিরই এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আরও দ্রুতগতি দৃশ্যমান হবে।