স্বাস্থ্য অধিদফতরের সামনে অবস্থান নিয়েছে নিয়োগবঞ্চিতরা
আদালতের নির্দেশনা থাকা স্বত্বেও নিয়োগে গড়িমসি করার প্রতিবাদে ও দ্রুত নিয়োগ সম্পন্ন করার দাবিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন অধিদফতরের অধীনস্থ ৯টি জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিয়োগপ্রত্যাশীরা।
আজ সোমবার সকাল থেকে চাকরিপ্রত্যাশীরা এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এর আগে গতকাল রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চাকরিপ্রত্যাশীরা তাদের দাবি আদায়ে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করে। এতে দাবি আদায় না হলে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনস্থ ৯টি জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চাকরিপ্রত্যাশীরা দীর্ঘ ৭ বছর আগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন করলেও তাদের নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি এখনো।আন্দোলনকারীরা বলছেন, ২০১২-১৩ সালে ৯ জেলায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ না করে তা বাতিল করে অধিদফতর। পরে আদালত ও মন্ত্রণালয়ের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও বাতিলকৃত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেনি স্বাস্থ্য অধিদফতর। ওই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও তাদের নিয়োগের দাবি আন্দোলনকারীদের।
এ ব্যাপারে আন্দোলনে অংশ নেয়া খাইরুল হক জানান, ২০১২ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতর ৯ জেলায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির লোকবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের এপ্রিলে আমরা পরীক্ষা দেই, জুলাইয়ে ফলাফল প্রকাশ পায়। এরপর জুলাই থেকে দুই মাসব্যাপী মৌখিক পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু অজানা কারণে ওই পরীক্ষা বাতিল করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তারা পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া মুক্তার আলী বলেন, আমরা অনেক দিন থেকেই ধৈর্য ধরে আছি। আজ ফলাফল প্রকাশ পাবে, তো কাল- এভাবেই ঘোরানো হচ্ছিল আমাদের। আদালতের নির্দেশনাও তোয়াক্কা করা হচ্ছিল না। তাই নিজেদের অধিকার আদায়ে নিজেরাই কর্মসূচি দিয়েছি। চাকরির নিশ্চয়তা নিয়েই ঘরে ফিরবো।