২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২১

সরকারি চাকরি ঝুঁকিতে ফেলে আন্দোলনে গিয়েও নন-ক্যাডারে বাদ

পিএসসি ভবন এবং কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন শায়ের (ইনসেটে)  © সম্পাদিত

সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা হয়েও জীবন ও ক্যারিয়ার ঝুঁকিতে ফেলে জুলাই আন্দোলনে শরীক হয়েছিলেন এক যুবক। তবে ৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডার চাকরি থেকে তাঁকে বঞ্চিত অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন শায়ের এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে যুবকের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

ফেসবুক পোস্টে জুলকারনাইন শায়ের লিখেছেন, একজন ব্যক্তি ইনবক্সে মেসেজটি আমাকে পাঠিয়েছেন। সম্পূর্ণ মেসেজটি কোনও পরিবর্তন না করে প্রকাশ করছি। এই ব্যক্তির জন্যে আপনাদের কোনো পরামর্শ থাকলে কমেন্টে জানাবেন। তাঁকে দেয়ার মতো উত্তর আমার কাছে নেই। আপনাদের মন্তব্য নিশ্চই তিনি পড়বেন।

যুবকের বার্তায় রয়েছে, ‘ভাই, ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতিত হয়ে অনার্সের পুরো ফোর্থ ইয়ার ক্লাস করতে পারিনি। সরকারি ব্যাংকের অফিসার হয়েও জীবন ও ক্যারিয়ার ঝুঁকিতে ফেলে জুলাই আন্দোলনে শরীক হয়েছিলাম। অফিস শেষে মিছিলে যোগ দেওয়ার আগে ছোট ছোট কাগজে ফ্যামিলির ফোন নাম্বার লিখে পকেটে রাখতাম, যেন কিছু হলে ফ্যামিলি দ্রুত খবর পায়।

হাসিনার পতন না হলে হয়তো চাকরি যেত বা শাস্তিমূলক বদলি হত। আমার পরিবারের সবাই আওয়ামী-বিরোধী। আমি কোনো দলের সাথে যুক্ত না হলেও  ছাত্রহত্যার প্রতিবাদে প্রকাশ্যে ফ্যাসিবাদের পতন চেয়েছিলাম। জুলাই থেকে অনেক বন্ধুকেও ত্যাগ করেছি তারা ফ্যাসিবাদের সাপোর্টার হওয়ায়।’

আরো পড়ুন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’ 

গত সপ্তাহে ৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডার জবের গেজেট থেকে বাদ পড়েছেন জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘চার বছরের অধিক সময় লেগে থেকে সরকারি পলিটেকনিক কলেজে ফিজিক্সের টিচার পদে চাকরি হওয়ার পর রাষ্ট্র আমার ওপর এই নির্মম জুলুমটা করল। আশেপাশের কাউকে লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছি না। আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলাম বলে এখন লোকে টিটকারি করছে।’

তার ভাষ্য, একজন বলল, ‘হাসিনার আমলে দু’টি সরকারি চাকরি পাইছিলে। এখন তোমাদের শখের সরকারই তোমার চাকরি খেয়ে দিল। তুমিই বল, আগে ভাল ছিলে কি না।’ তিনি বলেন ‘কী ভীষণ মানসিক যন্ত্রণায় আছি, বলে বোঝাতে পারব না। এ অবস্থায় আমি কী করতে পারি? আপনার পরামর্শ/হেল্প চাই।’