৪০তম বিসিএসের সমাপনী কুচকাওয়াজ হচ্ছে না আজ
৪০তম বিসিএসের সমাপনী কুচকাওয়াজ হচ্ছে না আজ রবিবার। এই অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইজিপিসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা সারদায় রয়েছেন। তবে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি মিডিয়া জানিয়েছেন, অনিবার্য কারণবশত ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের রবিবারের সমাপনী কুচকাওয়াজ হচ্ছে না।
জানা গেছে, আজ রবিবার রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিকে ৪০তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ১০ টায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব:) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী নিজে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের অভিবাদন গ্রহণ করার কথা ছিল। ইতোমধ্যে তিনি শনিবার রাজশাহীতে গেছেন।
তবে ৬২ জন ছাত্রলীগের ক্যাডার পুলিশে নিয়োগ নিয়ে ইউটিউব, ফেসবুকসহ অনলাইন মিডিয়াতে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। হাসিনার ছাত্রলীগের ক্যাডারদেরকে কীভাবে বর্তমান সরকার সমাপনী পর্ব শেষে পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের সনদ দিচ্ছে তা নিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। নেটিজেনরা বলছেন, সরকারের উচিত ছিল এই ৬২ জনের খোঁজ খবর নিয়ে তারপর প্রশিক্ষণ সমাপণী অনুষ্ঠানে যোগদানের অনুমতি দেয়া। তা না হলে এরা পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করে জনগণের পক্ষে নয়, হাসিনার পক্ষেই কাজ করবে। এই বির্তকের মধ্যে শেষ মুহুর্তে এসে এই অনুষ্ঠান বাতিল করা হল
জানা গেছে, ৪০তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের এসব কর্মকর্তা ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর সারদা পুলিশ একাডেমিতে যোগদান করেন। অভিযোগ রয়েছে, হাসিনা সরকার তিনটি ক্যাটাগরিতে ৪০তম বিসিএস থেকে প্রার্থী নির্বাচন করে। এগুলো হলো ছাত্রলীগ, গোপালগঞ্জের বাসিন্দা এবং দলীয় ক্যাডার। সে সময় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও অনেকেই বাদ পড়েন শুধুমাত্র এসবি এবং এনএসআই-এর রিপোর্টের কারণে। আওয়ামী লীগ না করলে কাউকেই নিয়োগ দেয়া হয়নি। একই সাথে ফলাফল যত ভালোই হোক পরিবারের কেউ বিএনপি অথবা জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে।