চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ ইস্যুতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সরকার
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে এ সংক্রান্ত পর্যালোচনা কমিটি। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের।
তবে সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হয়েছে, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে কমিটি করা হয়েছে। তারা এটি নিয়ে কাজ করবে। এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা রিজওয়ান হাসান বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কাজের প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। সেই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সিদ্ধান্ত কী হয়, পরবর্তীতে সেটি জানানো হবে। এছাড়া শিক্ষা কমিশন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা কোথায়, অবস্থান স্পষ্ট করল ভারত
এর আগে গত সোমবার (১৪ অক্টোবর) সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পুরুষের ক্ষেত্রে ৩৫ এবং নারীর ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন। প্রতিবেশী দেশের কথা তুলে ধরে ওই সময় কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, নারীদের বয়সসীমা ৩৭ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে যাতে তারা আরও বেশি সুযোগ পান।
তিনি বলেছিলেন, উপদেষ্টা পরিষদের পরবর্তী বৈঠকে এ প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে আলোচনার পর সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। তবে অবসরের বয়সের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটি সরকার পরে বিবেচনা করবে।
সংবাদ সম্মেলনে রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে আরও চারটি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসব কমিশন হলো- স্বাস্থ্য কমিশন, গণমাধ্যম কমিশন, নারী বিষয়ক কমিশন ও শ্রমিক অধিকার কমিশন। তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে ৩৫ ইস্যুতে আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দিনভর সরব ছিল আন্দোলনকারীরা। সর্বশেষ ৭টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যমতে, প্রজ্ঞাপনের দাবিতে শাহবাগে অবস্থান দিয়ে আন্দোলন করছেন তারা। আন্দোলনকারীরা জানান, দীর্ঘদিন আন্দোলনের পর আজ আমরা ৩৫-এর ফসল ঘরে তুলতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু সেটি এখনও না হওয়ায় আমরা হতাশ। এ সময় প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।