পুলিশের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ চেয়ে চাকরি প্রত্যাশীদের আন্দোলন
পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট নিয়োগে প্রবেশের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩০ বছর রাখার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এ সময় তারা বয়সসীমা ৩০ বছর রাখার পক্ষে ১০টি যুক্তি তুলে ধরেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর পুলিশ হেডকোয়াটার্সের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ যুক্তি তুলে ধরেন তারা।
মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী সাব-ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট নিয়োগ আবেদন প্রত্যাশী মো. খালেদুজ্জামান বলেন, ‘নিয়োগের ক্ষেত্রে ফিটনেসের বিষয়টি ইস্যু হলে ৩২ বছর বয়সে নিয়োগ অযৌক্তিক। সবার জন্য এটি সমান করা উচিত এবং ৩০ বছর রাখা উচিত। এর মধ্যে কেউ ফিট না থাকলে তিনি শারীরিক পরীক্ষায় বাদ পড়বেন।’
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া চাকরিপ্রত্যাশীদের ১০ যুক্তি হলো- ‘‘পুলিশ সংস্কারের সাথে পুলিশ নিয়োগের সংস্কার জরুরি। সময়ের পরিক্রমায় ব্রিটিশ আইনে পুলিশের নিয়োগ অপ্রাসঙ্গিক; গড় আয়ু বাড়ছে ফলে বয়সসীমা ২৭ রাখা অযৌক্তিক; ৩২ বছর বয়সে কোটাধারীরা আবেদনের সুযোগ পেলে সাধারণ প্রার্থীরা না পাওয়ার যৌক্তিকতা নেই; বিগত সরকারের আমলে ব্যাপক নিয়োগ বাণিজ্য ও দলীয় নিয়োগ হয়েছে ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়েছে, তাদেরকে আবেদনের সুযোগ দিতে হবে; সার্কুলারে সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৯ নির্ধারণ করা হয়েছে কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ১৯ বছর বয়সে স্নাতক সম্পূর্ণ করা অবাস্তব; সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩০ বছর অনুসরণ করা হলেও সাব-ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট নিয়োগে ২৭ বছর অপর দিকে সহকারী পুলিশ সুপার নিয়োগে বয়সসীমা ৩০ বছর যা অসামঞ্জস্যপূর্ণ; জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক শেষ করতে ২৫/২৬ বছর লেগে যায়, স্নাতকোত্তরসহ ২৭ বছর । বয়সসীমা ২৭ করে বিশাল সংখ্যক আবেদনকারীকে বঞ্চিত করা হচ্ছে; করোনাকালীন সময় প্রায় ২ বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল ফলে সঠিক সময়ে স্নাতক শেষ করা যায়নি। অনেকে বিগত নিয়োগ আবেদনে সুযোগ পায়নি তাদেরকে সুযোগ দেওয়া হোক; ভারত সহ বহুদেশে সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়স সীমা ৩০ বছর; বিগত সাব-ইন্সপেক্টর ৩৯, ৪০ তম ব্যাচ এবং ২৬ তম সার্জেন্ট নিয়োগে চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার পরও রাজনৈতিক কারণে পুলিশি তদন্তে তাদের কে নিয়োগ বঞ্চিত করা হয়েছে। তাদের বয়স এখন ২৭ পার। তাদের কে আবেদনের সুযোগ দিতে হবে।’’