আইসল্যান্ডের জনসংখ্যার চেয়ে বিসিএস চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা বেশী
৪০তম বিসিএসে আবেদনের সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। আবেদন করেছেন ৪ লাখ ১২ হাজার ৫৩৩ চাকরিপ্রার্থী। গত ফুটবল বিশ্বকাপে অংশ নেয়া আইসল্যান্ডের মোট জনসংখ্যার চেয়েও এটি বেশী। বিশ্বের ৫৬টি দেশের জনসংখ্যাও এ চাকরির পরীক্ষায় আবেদনকারীর চেয়ে বেশী। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে বিসিএস নিয়ে যে তীব্র আগ্রহ ও ‘উন্মাদনা’ তৈরি হয়েছে রেকর্ড সংখ্যক আবেদন তারই প্রতিফলন।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ৩ লাখ ৮২ হাজার ৪৪৪ জনসংখ্যার দেশ আইসল্যান্ড বিশ্বের জনসংখ্যা বিবেচনায় ১৮০তম দেশ। ২৩৩টি দেশের মধ্যে কম জনসংখ্যা বিবেচনায় এটি ৫৩তম দেশ। নিচ থেকে ৫৬তম দেশ বাহামার (জনসংখ্যা ৩ লাখ ৯৯ হাজার) চেয়ে ৪০তম বিসিএসে চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা বেশী। ব্রুনাই এবং মালদ্বীপের জনসংখ্যাকেও প্রায় ছুয়ে ফেলেছে এই বিসিএসে আবেদনকারীর সংখ্যা।
এর আগে ৩৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেন ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫৩২ জন প্রার্থী। এতদিন সেটাই ছিল বিসিএস পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি আবেদনের রেকর্ড।
জানা যায়, ৪০তম বিসিএসের আবেদন গ্রহণ শুরু হয় ৩০ সেপ্টেম্বর আর শেষ হয় ১৫ নভেম্বর। আবেদন করার ও ফি জমা দেওয়ার সময় শেষ হওয়ার পর দেখা গেছে ৪০তম বিসিএসে ৪ লাখ ১২ হাজার ৫৩৩ জন প্রার্থী সফলভাবে আবেদন করেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা ইশরাত শারমিন বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় বিসিএসে আবেদনের শেষ সময় হয়। এরপর ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত ফি জমা দেয়া দেয়ার সময় ছিল। ওই সময় পিএসসি জানায়, ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৫৩৩ জন প্রার্থী ফি জমা দিয়ে আবেদন নিশ্চিত করেছেন। ফি জমা দেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন নিবন্ধন করা আরও ৭৮ হাজার চারজন। ৭২ ঘন্টা পর মোট আবেদনকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪ লাখ ১২ হাজার ৫৩৩।
পাবলিক সার্ভিস কমিশন জানায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। ৪০তম বিসিএসের আবেদন গ্রহণ শুরু হয় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে। এবারের পরীক্ষার মাধ্যমে মোট ১ হাজার ৯০৩ জন ক্যাডার নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ক্যাডার অনুসারে প্রশাসনে ২০০, পুলিশে ৭২, পররাষ্ট্রে ২৫, করে ২৪, শুল্ক আবগারিতে ৩২ ও শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় ৮০০ জন নিয়োগ দেওয়ার কথা রয়েছে।