৩৫ আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রণালয়েরে পক্ষে অতিরিক্ত সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ৩৫-প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক শরিফুল হাসান, সদস্যসচিব মোহাম্মদ রাসেল ও যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল আমিন অংশ নেন।
বৈঠকে আন্দোলনকারীরা নিজেদের দাবি-দাওয়া ও যুক্তি তুলে ধরেন। পাশাপাশি তাদের দাবির পক্ষে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও গণ অধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতাদের সুপারিশপত্রও জমা দিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের জানানো হয়েছে, শিগগিরই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ–সংক্রান্ত সুপারিশ পাঠানো হবে।
পরে ৩৫-প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক শরিফুল হাসান বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবি পর্যালোচনার জন্য সরকার একটি কমিটি গঠন করেছিল। সেই কমিটির সঙ্গে আমাদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। আজ দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে গেলে ওই কমিটির প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী ও জনপ্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান আমাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য অতিরিক্ত সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী সাহেবকে দায়িত্ব দেন। পরে আমরা তিনজন তার সঙ্গে কথা বলি।
শরিফুল হাসান জানান, তারা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ও গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের সঙ্গে দেখা করে চাকরির বয়স ৩৫ বছর করার পক্ষে সুপারিশপত্রে স্বাক্ষর নিয়েছিলেন। সেই সুপারিশপত্র তারা অতিরিক্ত সচিবকে দিয়েছেন।
বৈঠক শেষে এক বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলনকারীরা জানান, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার বিষয়টি সুপারিশ আকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর পাঠানোর ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হয়েছে। ৩৫-প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পর্যালোচনা কমিটিকে আহ্বান ও কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে, যেন কোনোভাবেই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরের নিচে না হয়। বৈঠকে অতিরিক্ত সচিবের কাছে তাঁরা নিজেদের দাবির যৌক্তিকতা ও বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। কোনো কোনো বিষয়ে উন্মুক্ত বয়সসীমা রাখার জন্য সুপারিশ করেন।
হুঁশিয়ারি দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৩৫-এর দাবি বাস্তবায়নে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। দাবি পূরণ না হলে ২২ অক্টোবর ‘ডু অর ডাই’ নামে শিক্ষার্থী মহাসমাগমের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।