চাকরির বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের মহাসমাবেশ আজ
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) শাহবাগে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরীর সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করবেন তারা।
জানা গেছে, ৩৫ প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে বেলা ১১টায় এ কর্মসূচি পালন করবেন তারা। এ জন্য ফেসবুককেন্দ্রীক বিভিন্ন চাকরির গ্রুপে কয়েকদিন ধরে এ বিষয়ে প্রচার চালাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে ফেসবুকে কয়েকটি পেজ এবং গ্রুপ খোলা হয়েছে।
এর আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স ৩৫ ও ৬৫ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। তারা বলছে, সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স আগে ৩০ ও ৫৯ (মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীদের ৩২ ও ৬০) বছর করা হয়েছিল।
বিবিএসের তথ্য মতে দেশে মানুষের গড় আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পেয়ে ৭২.৩ বছর হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের চাকরির অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর। সুপ্রিমকোর্টের বিচারকদের চাকরির বয়সসীমা ৬৭ বছর। যেসব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের অনেকের বয়স ৬৭ বছরের বেশি।
এ সব বিবেচনায় মেধাভিত্তিক নতুন প্রজন্মের মাধ্যমে সংস্কারমুখী পুনর্গঠিত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের সময়সীমা যথাক্রমে ৩৫ ও ৬৫ বছর করার দাবি জানিয়েছে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। এ জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে তারা।
আরো পড়ুন: বিমান বাহিনীতে চাকরির সুযোগ, এসএসসি পাসেও আবেদন
এদিকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ বছর করার দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। শর্তসাপেক্ষে বয়সসীমা উন্মুক্ত করারও দাবি তাদের। এর আগে সাতদিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ২৪ আগস্ট মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা। তবে বন্যাসহ অন্যান্য পরিস্থিতি বিবেচনায় তা স্থগিত করা জয়।
চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, তাদের দাবি যৌক্তিক হলেও বিগত আওয়ামী লীগ সরকার মানেনি। তারা বয়স না বাড়ানোর সিদ্ধান্তে বরাবরই অনড় ছিলেন। ফলে দীর্ঘদিন আন্দোলন করলেও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়েনি। তবে এবার ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসায় তাদের দাবি মানা হবে বলে আশা তাদের।