নিয়োগে ১০ শতাংশ ধর্মীয় সংখ্যালঘু কোটার দাবি ঢাবি অধ্যাপকের
সব ধরনের চাকরির নিয়োগে ১০ শতাংশ ধর্মীয় সংখ্যালঘু কোটা চালুর দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘এ দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা পিছিয়ে আছেন। যদি কোটা সংস্কার করতে হয়, তাহলে সব চাকরিতে ১০% ধর্মীয় সংখ্যালঘু কোটাও বিবেচনা করা উচিত।’’
পোস্টের ব্যাখ্যায় মন্তব্যের ঘরে তিনি লিখেছেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কর্মকমিশন বরাবর যৌক্তিক হারে কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের সন্তানদের জন্য কোটা ও পিছিয়ে পড়া ধর্মীয় সংখ্যালঘু কোটা চালুর দাবিতে শিগগিরই স্মারকলিপি দেবে।
তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন রিপোর্ট ২০২০ অনুসারে বিগত ৩৫-৩৯তম বিসিএস পাঁচটা নিয়োগ পরীক্ষার পরিসংখ্যান : মোট নিয়োগ ১৪,৮১৩ জন, মেধা কোটা ৯,৮১৮ জন (৬৬.২%), জেলা কোটা ২,১২৪ জন, মহিলা কোটা ১,৪২৬ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ১,২৯৮ জন (৮.৭%), ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা ১৩১ জন, প্রতিবন্ধী কোটা ১৬ জন। আশা করছি এই পরিসংখ্যান অনেক কিছুই পরিষ্কার করবে!’
তার এ পোস্টে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ব্যবহারকারীদের। তবে ঢাবি অধ্যাপকের এমন দাবি নিয়ে বেশিরভাগ ব্যবহারকারী হাসাহাসি করেছেন। আবার কাউকে কাউকে তার এমন দাবির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেও দেখা গেছে।
অরিত্র দাস আবহি নামে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘সংখ্যালঘু হতে পারি, কিন্তু প্রতিবন্ধী না যে কোটার দরকার হবে। মেধার যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই ঢাবিতে পড়ছি। ভবিষ্যতে মেধার স্বাক্ষর রেখেই কর্মক্ষেত্রে যাবো। কোটার কলা ঝুলিয়ে সামনে সংখ্যালঘুদের সিমপ্যাথি পাওয়া যাবে না।’’