সরকারি চাকরির চেয়ে দেশ ছাড়ার চিন্তা বেশি শিক্ষার্থীদের
শিক্ষাজীবন শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। বিসিএস, সরকারি চাকরি, কর্পোরেট জব কিংবা স্কলারশিপ নিয়ে দেশের বাইরে যাওয়া— যে করেই হোক প্রতিষ্ঠিত হওয়া থাকে তাদের একমাত্র লক্ষ্য। তবে শিক্ষার্থী হিসেবে এ ভাবনায় থাকতে পারে ভিন্নতা। গবেষণা বলছে, এখনকার শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরি করার চেয়ে দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমানোর চিন্তায় বেশি।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির কারণ-শীর্ষক আঁচল ফাউন্ডেশনের এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এসব তথ্য। শুক্রবার (৭ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়েছে সে সমীক্ষার বিবরণ। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৫৭০ জন শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর চালানো হয়েছে এ গবেষণা।
আঁচল ফাউন্ডেশনের জরিপে দেখা যায়, ৩১.৭ শতাংশ শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, ২৯.৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্যারিয়ার হিসেবে সরকারি চাকরি করতে চান, ৯.৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ব্যবসা বা উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, মাত্র ৭.১ শতাংশ শিক্ষার্থী বেসরকারি চাকরি করতে চান। এছাড়া বাকি শিক্ষার্থীরা এখনো কোনোরূপ ক্যারিয়ার ভাবনা ঠিক করেনি যা মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ২২ শতাংশ।
ফাউন্ডেশনটির এবারের সমীক্ষায় মোট ১ হাজার ৫৭০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। এর মাঝে বয়সের পরিসীমা অনুযায়ী ১৭-২২ বছর বয়সী শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন ৫৮০ জন বা ৩৬.৯৪ শতাংশ, ২৩-২৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন ৯১৯ জন বা ৫৮.৫৩ শতাংশ এবং ২৭-৩০ বছর বয়সী শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন ৭১ জন বা ৪.৫৩ শতাংশ।
লিঙ্গ ভেদে ১৫৭০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৭৫৬ জন বা ৪৮.১৫ শতাংশ পুরুষ, ৮১৩ জন বা ৫১.৭৮ শতাংশ নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১ জন বা ০.০৬৪ শতাংশ শিক্ষার্থী জরিপে অংশগ্রহণ করেছেন।
জরিপে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল ২৫১ জন বা ১৬.০০ শতাংশ, দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল ২৫৪ জন বা ১৬.২ শতাংশ, তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল ৩৬৯ জন বা ২৩.৪ শতাংশ, চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল ৩৪০ জন বা ২১.৭ শতাংশ, মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিল ৩৪১ জন বা ২১.৭ শতাংশ এবং সদ্য গ্র্যাজুয়েট ছিলেন ১৫ জন বা ১.০০ শতাংশ।