মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের আদেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা বাতিলের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে বলে জানান তারা।
আজ বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে তারা আন্দোলনের সূচনা করেন। পরে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা পুনরায় মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে গিয়ে শেষ করেন। আগামীকাল বিকেল ৫টায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে আবারও বিক্ষোভ সমাবেশের করার ঘোষণা দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘চাকরিতে কোটা, মানি না মানবো না’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়/ স্বাধীনতার বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই’, ‘হাইকোর্টের রায়, মানি না মানবো না’, ‘কোটা পদ্ধতি, কোটা পদ্ধতি, মানি না মানবো না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা কোনো দেশের স্বাভাবিক শিক্ষাব্যবস্থা হতে পারে না। আজ শিক্ষার্থীদের চাওয়াকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোটা পুনর্বহালের পক্ষে রায় দিয়েছে। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাই, যারা দেশের সূর্য সন্তান। কিন্তু তাই বলে তাদের সন্তান এমনকি নাতি-নাতনিরা পরিশ্রম কম করেই কোটায় চাকরিতে যোগ দেবে এটা মানি না।
তারা বলেন, আমরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাই আপনারা রাস্তায় নেমে আসুন, এই কোটা আন্দোলনে শরিক হোন। এটা আমাদের অধিকারের লড়াই। দেশের মেধাবীরা পরিশ্রম করে চাকরি পাবে, কোটায় নয়। আপনারা দল মত নির্বিশেষে একত্রিত হয়ে শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরকারি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন।
সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার (৫ জুন) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।