২৫ মে ২০২৪, ১৯:২২

নিয়োগ পরীক্ষা দিতে এসে দেখেন স্কুলেই তালা

নিয়োগ প্রার্থী  © সংগৃহীত

জনবল নিয়োগ পরীক্ষা দিতে এসে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষসহ অন্য কক্ষগুলো তালা বন্ধ পান পরীক্ষা দিতে আসা প্রার্থীরা। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন হবে না নিয়োগ পরীক্ষা। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার নোটিশ দর্শানো ব্যতীতই এমন সিদ্ধান্ত নেন। তাই বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রার্থীরা। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বিদ্যালয় আঙিনায় অপেক্ষার পর হতাশ হয়ে ফিরে যান তারা।

শুক্রবার (২৪ মে) গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের কুমারিয়া লক্ষ্মীপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

প্রার্থীরা জানান, গত বছর ১১ ডিসেম্বর উক্ত বিদ্যালয়ের চারটি শূন্য পদে জনবল নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে অফিস সহায়ক, নৈশপ্রহরী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়া পদে ৩৫ জন চাকরি প্রার্থী আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রার্থীদের ডাকযোগে চিঠি পাঠানো হয়। শুক্রবার (২৪ মে) সকাল ১০টায় পরীক্ষার দিন ধার্য করা হয়।

পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রার্থীরা সকালে বিদ্যালয়ে এসে প্রতিটি কক্ষে তালা ঝুলতে দেখেন। পরীক্ষা না হওয়ার বিষয়ে বিদ্যালয় থেকে তাদের কোনো প্রকার নোটিশ করা হয়নি। এমনকি বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের দরজায়ও টাঙানো নেই কোনো নোটিশ। তবে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও কতিপয় সদস্যরা তাদের মনোনীত প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য এমন অপচেষ্টা চালাচ্ছে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

সেখানে এক প্রার্থী বলেন, আমি আয়া ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে আবেদন করেছি। ডাকযোগে চিঠির মাধ্যমে পরীক্ষার জন্য শুক্রবার আমাকে ডাকা হয়েছে। আমি স্কুলে এসে দেখি অফিস কক্ষে তালা দেওয়া। আমার মতো আরও অনেকে এসে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। আমাদের সাথে অবিচার করা হচ্ছে।

চাকরিপ্রার্থী সুমন কুমার দাস বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুবোধ কুমার দাসের পুত্রবধূ ও সদস্যদের মনোনীত প্রার্থী আগেই নির্ধারণ করা। শুধু লোক দেখানো নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে। যে কারণে এ ধরনের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। কাউকে না জানিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেছে।

এ বিষয় বিদ্যালয়ের সভাপতি সুবোধ কুমার দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে প্রধান শিক্ষক সুশান্ত কুমার জানান, সভাপতির অসুস্থতার কারণে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। দপ্তরির মাধ্যমে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নোটিশ কক্ষের ভেতরে টাঙানো আছে। তবে ম্যানেজিং কমিটির যারা, তাদের মনে কি আছে আমি জানি না।’

অন্যদিকে কাশিয়ানী উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজা বেগমের মুঠোফোনে একাধিকবার বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।