খণ্ডকালীন চাকরিতে পুরুষের চেয়ে এগিয়ে নারীরা
দেশে কর্মজীবী নারীদের ৩৫ শতাংশই বিভিন্ন ধরনের খণ্ডকালীন কাজে নিয়োজিত আছেন। আর কর্মজীবী পুরুষের ২৯ শতাংশ এ ধরনের কাজ করেন। সে হিসেবে খণ্ডকালীন চাকরিতে পুরুষের তুলনায় নারী বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) খানা আয় ও ব্যয় জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
জানা গেছে, ১৫ বছরের বেশি বয়সী কর্মজীবীদের মধ্যে যারা সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার কম কাজ করেন, তাা খণ্ডকালীন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সী কর্মজীবী নারীদের খণ্ডকালীন কাজে অংশগ্রহণ কম। তারপরও নারীর অংশগ্রহণ বেশি। খণ্ডকালীন কর্মসংস্থানের বড় ক্ষেত্র কৃষি। ২০২২ সালের জন্য চালানো জরিপে দেখা যায়, কৃষিতে খণ্ডকালীন কর্মসংস্থান বেড়েছে। এতে নারীর হার ৭৯ দশমিক ২৬ শতাংশ।
এর আগে ২০১৬ সালের জরিপে এ হার ছিল ৭৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। পুরুষের ক্ষেত্রে এ কাজের হার ৫৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ২০১৬ সালে ছিল ৫৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কর্মজীবী নারীদের ৩০ শতাংশ অকৃষি খণ্ডকালীন কাকে যুক্ত। পুরুষ আছেন ২০ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
২০১৬ সালের জরিপে অকৃষিতে নারীর অংশগ্রহণ ছিল ৩২ দশমিক ৮১ শতাংশ। পুরুষের ক্ষেত্রে ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ ছিল। এক্ষেত্রে অকৃষি খাতে খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ কমেছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৬৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষের খণ্ডকালীন কাজের প্রবণতা বেশি। এ বয়সসীমার কর্মজীবীদের মধ্যে খণ্ডকালীন কাজে নারী আছেন ৬৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ। পুরুষের মধ্যে আছেন ৪৬ শতাংশ।
আরো পড়ুন: পার্ট-টাইম চাকরির সুযোগ দিচ্ছে রকমারি, আবেদন করুন ফ্রেশারও
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে প্রাতিষ্ঠানিক খাতের চেয়ে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত দ্রুত বড় হচ্ছে। এ কারণে কর্মসংস্থানে নারীর অংশ বাড়ছে। কৃষিতে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ ঐতিহাসিকভাবেই বেশি। কৃষি বলতে ফসল উৎপাদন ছাড়াও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্যকেও বিবেচনা করা হয়। অন্য দুই খাত শিল্প এবং সেবায় নারীর কর্মসংস্থান না বেড়ে বরং কমছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের নির্বাহী পরিষদের সদস্য শাকিল আক্তার চৌধুরীর ভাষ্য, কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি বৈষম্য রয়েছে। শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব এবং আইনের দুর্বলতাসহ অনেক কারণে নারীকে সহজে ঠকানো যায়। খণ্ডকালীন কাজে এমন ঘটনা বেশি।